Published in the Sunday Anandabazar Patrika(ABP) on 14 April, 2024
গল্পের বই থেকে উঠে আসা গল্প বলেই মনে হবে| আমি যখন আকাশ থেকে নেমে আসা পেঁজা তুলোর মত নরম তুষারপাত দেখছিলাম, আর শীতল হাওয়া আমার মনের কোনে এক পশান্তির অনুভূতি জাগিয়ে তুলছিল তখন মনে হচ্ছিল পাকৃতিক দৃশ্য কত মোহময় হয়ে উঠতে পারে | মৃদু সূর্যালোকে কাছাকাছি গাছগুলির বরফে ঢাকা শাখা চিকচিক করছে এবং পাকৃতিক ভূচিত্র জুড়ে এক জাদুর ঔজ্জ্বল্য হয়ে উঠছিল পকাশমান| বরফে আচ্ছদিত পথ দিয়ে যখন আমি পায়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম তখন আমার পায়ের শব্দ আর বরফের মধ্যে ক্রীড়ারত বাচ্চাদের হাস্য কোলাহলই শুধু আমার কানে গুঞ্জিত হচ্ছিল| গাছ, কাঠের বাড়ি, রাস্তা... চোখের সামনে যাই দেখতে পাচ্ছি তাই স্বচ্ছ পরিস্কার সদ্যঝরা তুষারপাতে ঢাকা, যার ফলে সম্পূর্ণ এলাকাটা লাগছিল মনোরম শীতের এক আশ্চর্য দেশ! আমি লক্ষ্য করছিলাম চারিদিকে লাল সবুজের বৈচিত্রপূর্ণ সাজসজ্জা| যদি এমন কোনো স্থান পৃথিবীতে থাকে যে স্থান বছরের যে কোনো সময়েই ক্রিসমাস বলে মনে হতে পারে তা হল এই দেশটি! এমনকি আমি বাইরে থেকে রেইন ডিয়ারের আওয়াজও শুনতে পাচ্ছিলাম! বাতাসের মধ্যে এক স্তব্ধ পত্যাশা নিয়ে যখন আমি লাইনে দাঁড়ালাম তখন বেশ উত্তেজনার সাথে আমার শ্বাস রোধ হয়ে আসছিল| যখন আমার সময় এল আমার মধ্যেকার শিশুপবণ মনটা সব থেকে আগে ছুটে বেড়িয়ে এল, এবং এক সংক্রামক উদ্দীপনার সাথে আমার সামনের ব্যাক্তির দিকে সাহে ছুটে গেল| আমার হৃদয় উত্তেজনায় কাঁপছিল যেন আমি আমার স্বপ্নকে সত্যি হতে দেখতে পাচ্ছি! ঠিক এখানেই দেখতে পেলাম মুখে মৃদু হাসি নিয়ে আমার চোখের সামনে লাল সাদা আলোকোজ্জ্বল পোষাকে দাঁড়িয়ে আছে ফাদার ক্রিসমাস! তার চোখ দুটিতে যেন আনন্দের পলকের সাথে চোখের কোনে হাসি লেগে আছে, এমন দয়ালু চোখ আমি জীবনে আর কখনও দেখি নি| তার লম্বা পবাহিত রূপালী দাঁড়ি এবং চুল তাঁর কল্যাণময় মুখকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে| তূলোর মত ঝরে পড়া নরম বরফের মত কোমল স্বরে তিনি আমাকে ডাকলেন ‘কাম মাই চায়েল্ড’| মুহূর্তের মধ্যে আমার মনে হল আমি যেন চলে গেছি এবং সেই লোকটার পাশে বসে আছি যে স্যান্টাক্লস ছাড়া আর কেউ হতে পারে না| সেই মুহুর্তের মুগ্ধতায় আমি এতটাই আচ্ছন্ন হয়ে গিয়েছিলাম যা আমার স্মৃতির মণি কোঠায় তা আজীবনে সঞ্চিত থাকবে| ফিনল্যান্ডের ল্যাপল্যান্ড অঞ্চলে রোভানিয়েমি শহর স্যান্টাক্লসের অফিসিয়াল হোম| ফিনল্যান্ডের রোভানিয়েমি শহরে অবস্থিত স্যান্টাক্লসের ভিলেজ দর্শন একটা সত্যি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা এবং স্যান্টাক্লস-এর অস্তিত্ত্ব আছে কি নেই তা নিয়ে যে আমরা বিতর্ক করে থাকি তা সেখানেই সমাহিত হয়ে গিয়েছিল যখন আমি রোভানিয়েমি শহরে পৌছোলাম! আসলে আমরা সকলেই আমাদের জীবনে কিছু চমৎকার অনুভূতির উপলব্ধি পেতে চাই| এই জায়গাটার যেটা আমার বিশেষ ভালো লেগেছে তা হল বছরের 365 দিনই এখানে ক্রিসমাসের দিন বলে মনে হয়| ক্রিসমাসের স্পিরিট এখানে এতটাই বেশি যে চারিদিকে চমৎকার উৎসবের পরিবেশকে অনুভব করা যায়| যেখানেই আমরা গেছি সেখানেই ক্রিসমাসের সাথে সংশ্লিষ্ট আনন্দ, সুখ এবং উদারতার অনুভূতি সব সময়ে অনুভব করেছি| অনেক অনেক বছর আগে স্যান্টাক্লসের সাথে দেখা হবার এক সুবর্ণ সুযোগ আমার এসেছিল কিন্তু আজও তা মনে হয়যেন গতকালের কথা| এ কথা বললে ভুল হবে না স্যান্টাক্লস ভিলেজ দর্শন আমার মনকে আশা এবং খুশীর অনুভূতিতে ভরে তুলেছিল, এমনকি এখানকার পোস্ট অফিস থেকে আমি পোস্টকার্ডও পোস্ট করেছিলাম যা আমার আত্মীয় এবং বন্ধু বান্ধবদের কাছে ডেলিভারি হয় ক্রিসমাসের সময়! মনের মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধ এবং খুশীর মেজাজ নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম স্যান্টার োটো থেকে এবং সরাসরি পৌছে গেলাম আর্টিক সার্কেল-এ| আর্টিক সার্কেল-এ দাঁড়িয়ে আমি যে শুধু সেখানে সেল্ফি তুলেছি তা নয় আমি একটা সার্টিফিকেটও পেয়েছিলাম যেখানে লেখা ছিল আমি আর্টিক সার্কেল-এ ওপর দাড়িয়েছিলাম! আর্টিক সার্কেল যদিও একটি কাল্পনিক রেখা যেটা পৃথিবীর 66 ডীি উত্তর ল্যাটিচুড ঘিরে আছে কিন্তু সেই রেখার ওপর দাড়ানো একটা পকৃত আনন্দ! আর্টিক সার্কেলকে অতিক্রম করে মনে হল যেন আমি গুপ্তধনের চাবির খোঁজ পেয়েছি যা সার্কেলের বাইরে অবস্থিত| আপনি হয় তো ভাবছেন আর্টিক সার্কেল অতিক্রম করে আমি কোন বড় তীর মেরে দিয়েছি| ঠিকই ভেবেছেন, আর্টিক সার্কেল একটি এমনই গুরুত্বপূর্ণ ভৌগোলিক সীমরেখা যেখানে পৌছে মানুষ দেখতে পায় কিছু বিস্ময়কর ঘটনা যেমন, মধ্যরাত্রির সূর্য এবং পোলার নাইট, যার কারণে সম্পূর্ণ জায়গাটিতে দেখা যায় অত্যন্ত বৈশিষ্টসূচক জলবায়ু এবং ইকোসিস্টেম, যা পৃথিবীর অন্য আর কোথাও দেখতে পাওয়া সম্ভব নয়| ফিনল্যান্ডের চরম উত্তর ভাগে অবস্থিত পুরো ল্যাপল্যান্ড এলাকা, নরওয়ে এবং সুইডেন খুবই বৈশিষ্ট্যপূর্ণ দেশ এবং আপনি সেখানে বিশেষ হলিডে-র আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন| একবার কল্পনা করে দেখুন তো ীষ্মকালে আপনি এমন জায়গায় বেড়াতে যাচ্ছেন যেখানে 24 ঘন্টা শুধু সূর্যের আলোই দেখতে পাবেন যেহেতু সূর্য সেখানে অস্ত যায় না, আবার শীতকালে যদি সেখানে বেড়াতে যান তখন সূর্যের মুখও দেখতে পাবেন না কিন্তু আপনি যে বিস্ময়কর দৃশ্যটি দেখার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার সুযোগ পাবেন তা হল অনন্য সাধারণ ঔরোরা বোরিয়ালিস অথবা নরদার্ন লাইট| আপনি নিজেকে খুবই ভাগ্যবান বলে মনে করতে পারেন যদি আপনি পাকৃতিক সৌন্দর্যের এক আশ্চর্যজনক পদর্শন দেখার সুযোগ লাভ করেন যখন সূর্যের পোলার রশ্মির সাথে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের সংঘর্ষ ঘটে, তখনই কালো আকশের বুক চিরে পধানত সবুজ এবং কখনও কখনও বেগুনি অথবা লাল আলোর নৃত্যকলা পকাশ পায়| আমি যখন এই পবন্ধটি লিখছি সেই সময় ভীণা ওয়ার্ল্ডের টু্যর ম্যানেজার রাহুলের পোস্ট করা সুন্দর সুন্দর ছবিগুলিও সাথে দেখছিলাম যখন ওনার প টু্যর নরওয়ের ট্রমসো-তে পৌছিয়ে পথম দিনেই এই স্বর্গীয় বিস্ময়কর ঘটনার দর্শন লাভ করার সুযোগ পায়| এটি যেহেতু একটি পাকৃতিক বিস্ময় ভিনা টু্যরের আমরা সকলেই সবসময়ে চেষ্টা করি আমাদের পর্যটকরা যাতে নর্দার্ন লাইট দেখার সর্বাধিক সুযোগ পান, সেই কারণে নিপুণতার সাথে ভ্রমণ সূচী এমন ভাবে তৈরী করা হয় যাতে আর্টিক সার্কেলের বাইরে ল্যাপল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড এলাকা জুড়ে বেশির দিন থাকা যায়| আমি, দেখার জুড়ে বেশির দিন থাকা যায়| আমি, অন্যদিকে, কিছুটা ভাগ্যহীন ছিলাম, যেহেতু আমি বেশি লম্বা সময় ধরে ওখানে থাকতে পারি নি ল্যাপল্যান্ডে নর্দার্ন লাইট দেখার জন্য, তবে আরেকটি সুযোগ আমি পেয়েছিলাম কানাডাতে যখন আমরা আলোর দূষণ থেকে দূরে দূরবর্তী স্থানে গিয়েছিলাম নর্দার্ন লাইট দেখার অনেক আশা নিয়ে কিন্তু দু রাত্রি জেগে থাকেও আমরা সকলে যা দেখতে পেয়েছিলাম তা হল দূরের চলমান ট্রাকের লাইটের আলো! খুব ভালো করেই আমরা সকলে এটা জানি যে যতই হোক এটি একটি পাকৃতিক বিস্ময় এবং পকৃতি আমাদের নিয়ন্ত্ৰণের বাইরে কিন্তু ওখানকার শীতের ঠান্ডাকে আমরা সবাই চরম উপভোগ করেছিলাম! পায়শই দেখা যায় অনেক লোকেরাই শীতকালে বেড়াতে যেতে চান না কারণ ওনারা মনে করেন শীতের ঠান্ডা ওনারা সহ্য করতে পারবেন না কিন্তু বিশ্ব ব্যাপী বিভিন্ন ঠান্ডার জায়গায় বিশেষ করে শীতকালে যখন সম্পূর্ণ এলাকা বরফে ঢেকে যায় তখন সেই সব স্থান ফিনল্যান্ড থেকে ফান্স এবং অ্যান্টার্টিকা ভ্রমণ করার পর একটা জিনিষ আমি উপলব্ধি করেছি যে লেয়ারে লেয়ারে পশমী জামাকাপড় পরে থেকে ঠান্ডার থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারা নিঃসন্দেহে একটা উত্তম উপায় কিন্তু যদি আপনি কান এবং পা-কে ভালো করে ঢেকে রাখেন তাহলে আপনি যে শুধু ঠান্ডার থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারবেন তা নয়, আপনি পকৃতপক্ষে ঠান্ডাকেও উপভোগ করতে পারবেন| অন্য কোনখানে আমরা বরফ এবং বরফের সাথে চমকপদ আনন্দ উপভোগ করতে পারব যা একমাত্র বরফের জায়গাতেই সম্ভবপর? এই ল্যাপল্যান্ডেই আমি পথমবার রেইন ডিয়ার দেখি| আমার সাথে রেইন ডিয়ারের যখন চোখাচোখি হয় এবং রেইন ডিয়ারটি খুব কৌতুহলের সাথে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে তখন আমার মনের মধ্যে বাচ্চাদের খীস্টমাস গান ‘রাডোল্ফ দ্য রেড-নোসড রেইন ডিয়ার’ বেজে ওঠে! এবং সেই সাথে আমি তক্ষুনি বরফের মধ্যে লাফিয়ে পড়ি, স্লেজ গাড়িতে বসে পড়ি এবং রেইন ডিয়ারের টানা স্লেজ গাড়িকে করে বরফের মধ্যে ঘুরতে থাকি| সে কি আনন্দ, বরফের মধ্য দিয়ে স্লেজ গাড়িতে করে চলেছি! এর থেকে বেশি আনন্দদায়ক ক্রিসমাস আর কি কিছু হতে পারে? এটা বলাই বাহুল্য যে আমি আমার রেইন ডিয়ার এবং রোভানেইমি-র পতি হেড ওভার দ্য হিল পেমে পড়ে যাই| কিন্তু আশ্চর্য হবার কিছু নেই যে সেই দিন আমি খুব বিস্মিত হয়েছিলাম যখন দেখেছিলাম দিনের শেষে ডিনারে রেইন ডিয়ারের মাংস রান্না করে আমাদের খেতে দিয়েছে! সামি জাতিসমূহ যারা আর্টিক সার্কেলের বাইরে থাকে তাদের সম্বন্ধে জানার পরে বুঝতে পেরেছিলাম এই কঠোর পরিস্থিতিতে যে ভাবে এরা নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে তা সত্যি চিত্তাকর্ষক! পরবর্তী সময়ে আমার কাকস্লতেন যাওয়ার সুযোগ আসে যা রোভানেইমির থেকে আড়াই ঘন্টার ড্রাইভ| ফিনল্যান্ডের ল্যাপল্যান্ড অঞ্চলের মোহময় পাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে অবস্থিত কাকস্লতেন আর্টিক রেসোর্টে আইকনিক গ্লাস ইগলুর মধ্যে থাকার ব্যবস্থা ছিল যা এক বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ করে দিয়েছিল| উদ্ভাবন এবং আরামের এক বিস্ময় এই গ্লাস-রুফড বাসস্থান, পকৃতি এবং বিলাসিতার মধ্যেকার সীমারেখাকে এক নতুন সংজ্ঞা দিয়েছে| কল্পনা করুন আপনি বিছানায় শুয়ে আছেন, যা অকৃত্তিম আর্কটিক বনভূমি দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং বিস্তৃত রাতের আকাশের দিকে আপনি তাকিয়ে দেখছেন যা নর্দার্ন লাইটের মন্ত্ৰমুগ্ধকর নৃত্যকলা দ্বারা সজ্জিত হয়ে উঠেছে| এই সময়ে আরো একটা জিনিষ আমরা আবিষ্কার করেছিলাম তা হল মনোমুগ্ধকর শীতকালের মত ীষ্মের চূড়ান্ত সময়েও মিডনাইট সান-এর মত বিস্ময়কর ঘটনা দেখা, ঘন সবুজের নতুন পোষাক পরে সম পাকৃতিক ভূচিত্রের সেজে ওঠা,সেই রূপান্তরিত রূপটা দেখার জন্যেও এখানে ফিরে আসা জরুরী| এবার দেশে ফেরার পালা, ফেরার পথে যখন আমরা হেলসিঙ্কি পৌছোলাম তখন ফিনল্যান্ডের মানুষদের সম্বন্ধে আমরা অনেক কিছু জানতে পারলাম যেমন, তাদের পাকৃতিক সৌন্দর্যের থেকে বিরামহীন আনন্দ হণ, বাড়ির বাইরের কাজকর্ম, ব্যাক্তিগত জীবন আর কর্ম জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারা, সামাজিক সমতার অঙ্গীকার এবং সর্বোপরি ওই দেশের উচ্চ মানের জীবন যাত্রা| এটা জেনে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে এই দেশটি কেন পৃথিবীর সুখীতম দেশ হিসাবে ক্রমাগত চিহ্নিত হয়ে এসেছে এবং এটি সহজেই অনুমান করা যায় স্যান্টাক্লস নিজেই কেন এই দেশকে তার নিজের বাসস্থান হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন! ক্রিসমাস বছরে একবারই আসে কিন্তু উৎসবের উদ্দীপনা এখানে সব সময়ে অনুভব করা যায়, যে সময়েই আপনি এখানে আসুন না কেন! মেরি খীস্টমাস এভরি ওয়ান!
ওহ! এটা তো আমি জানতাম না...
আপনি নিশ্চয় অনেক জায়গায় লাইট শো দেখেছেন কিন্তু আপনি কি কখনও আকাশে ন্যাচারাল লাইট শো দেখেছেন যা দেয় দু চোখ ভরে দেখার আনন্দ? পকৃতির এই অভূতপূর্ব বিস্ময় হচ্ছে নর্দার্ন লাইট যা দেখা যায় নর্থ পোল এবং আর্টিক সার্কেলে| এই নর্দার্ন লাইট যা অওরা বোরিয়ালিস নামেও পরিচিত যা দেখা যায় ফিনল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ের মত স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলির আকাশে এবং আইসল্যান্ড , ীনল্যান্ড এবং কানাডাতেও | নর্দার্ন লাইট-এর মনোরম দৃশ্য কেবলমাত্র শীতকালের রাতের আকাশেই দেখা যায় যা বিশ্বব্যাপী পর্যটকদের কাছে পধান আকর্ষণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা দেখতে লক্ষ লক্ষ পর্যটক এই দেশে আসেন| বৈজ্ঞানিক মতে যখন সূর্যের এনার্জেটিক পার্টিক্যল পচন্ড গতিতে পৃথিবীর ওপরের বায়ুমন্ডলে এসে ধাক্কা খায় তখন পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ড এই পার্টিক্যাল গুলিকে নর্থ পোলের দিকে চালিত করে যা নর্দার্ন লাইটের মত বিস্ময়কর দৃশ্যের সৃষ্টি করে| স্ক্যান্ডিনেভিয়ান মাইথোলজিতে নর্দার্ন লাইটকে মনে করা হয় নারী যোদ্ধা ভালকাইরিসদের ঢাল এবং বর্মের পতিচ্ছবি| এই দৃশ্যকে দেখে পৃথিবীর খুব কাছাকাছি মনে হলেও নর্দার্ন লাইট পকৃত পক্ষে পৃথিবী থেকে পায় 100 কিমি দূরে| একটা সময়ে এই নর্দার্ন লাইট দেখা যেত নরওয়ের দক্ষিণ পান্তে কিন্তু এখন যেহেতু ম্যাগনেটিক পোলের অবস্থানের পরিবর্তন ঘটেছে তাই নর্দার্ন লাইটের পকাশিত হওয়ার স্থানেরও পরিবর্তন ঘটেছে| নর্দার্ন লাইটের বিভিন্ন কাহিনী দ্বারা অনুপাণিত নরওয়ের আল্টাতে একটি বিশেষ গীর্জা আছে যার যথার্থ ভাবে নাম দেওয়া হয়েছে ‘নর্দার্ন লাইট ক্যাথিড্রাল’! এছাড়াও, নর্দার্ন লাইট জুপিটার এবং শনি হের ওপরেও দেখা যায় যা বৈজ্ঞানিকরা হাবেল স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যেমে দেখে সুনিশ্চিত করেছেন| এই পাকৃতিক ঘটনা পকাশমান হয় হগুলির শক্তিশালী ম্যাগনেটিক ফিল্ডের কারণে| ফিনল্যান্ডে বিশেষ পকারের গ্লাস ইগলু নির্মাণ করা হয়েছে যা পকৃতপক্ষে নর্দার্ন লাইট দেখার উল্লেখযোগ্য ভ্যান্টেজ পয়েন্ট| ইগলুতে পাবেন আরামদায়ক বিছানায় শুয়ে নর্দার্ন লাইট দেখার এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা| ভীণা টু্যরের কাস্টোমাইস্ড হলিডে-তে অংশ হণ করে অবিশাস্য রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা লাভ করুন| অনেক বছর ধরেই ভীণা ওয়ার্ল্ড সফলতার সাথে নর্দার্ন লাইট দেখার প টু্যর নিয়ে যাচ্ছে | আগামী আসন্ন টু্যর তারিখগুলি দেখার জন্য www.venaworld.com ঝণড্ড ভীণা ওয়ার্ল্ড ওয়েবসাইটের ওপর চোখ খোলা রাখুন|সুতরাং এবার আপনি আপনার ব্যাগ গোছানো শুরু করুন এক বিস্ময়কর ভ্রমণযাত্রার সাক্ষী হতে!
ভীণা ওয়ার্ল্ড ট্র্যাভেল মিশন
‘দেখো আপনা দেশ’ স্লোগানের সাথে আমাদের দেশের পধানমন্ত্ৰী অনুরোধ করেছেন ‘আগামী তিন বছরে আমরা যেন অন্তত পক্ষে ভারতের 15টি রাজ্য দর্শন করি’| আমরা এই চ্যালেঞ্জকে হণ করেছি এবং এই স্লোগানকে সম্প্রসারিত করে আমরা নতুন স্লোগান তৈরী করেছি ‘দেখো আপনা দেশ, দিল সে, প্যায়ার সে, সম্মান সে’ যা ভীণা ওয়ার্ল্ড-এর বিজ্ঞাপনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে! আমাদের পর্যটকদের মনে ভারতবর্ষের পতি এক আন্তরিক ভালোবাসা জাগিয়ে তোলাই আমাদের এখন লক্ষ্য যার বিস্তৃত পরীধি কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী এবং গুজরাত থেকে গুয়াহাটি| এটা আমাদের দায়িত্ব যে ভারতের মত বৈচিত্রপূর্ণ দেশের দর্শনীয় স্থানগুলিকেএবং বিশ্বের আকর্ষণীয় স্থানগুলিকে পর্যটকদের কাছেতুলে ধরা| ফলে আমাদের যেমন চেষ্টা করছি ভারতের দ্রষ্টব্য স্থাগুলিতে পতি বছর 50,000 বিদেশী পর্যটকদের নিয়ে যাওয়ার, পারস্পরিক ভাবে তেমনি সেই সংখ্যক ভারতীয় পর্যটকদেরও পৃথিবীর মানচিত্রের পতিটি কোনে নিয়ে যাওয়াও আমাদের আছে চেষ্টা, আন্তরিক ভাবে এবং আনন্দের সাথে| ট্র্যাভেল মিশনকে লক্ষ্য রেখে আমরা ভারতের সমস্ত রাজ্যগুলির ভ্রমণের ব্যাবস্থা এবং একটি মানুষের জীবনকালে দশটি, পঁচিশটি, পঞ্চাশটি,পচাত্তরটি এবং এমনকি একশটি দেশ দেখানোর চ্যালেঞ্জ আমরা আমাদের জন্যেও এবং পর্যটকদের জন্যেও বেঁছে নিয়েছি | আমাদের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মিশনের পাশাপাশি পর্যটন মিশনও একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে নিয়েছে| আমাদের জীবনে সব সময়েই নতুন কিছু দেখার সুযোগ খুবই পয়োজনীয় হয়ে উঠেছে, তাই না? ভীণা ওয়ার্ল্ড-এ পথমদিন থেকে আমরা পবর্তন করেছি পাঁচ বছরে 50টি দেশ দেখার পরিকল্পনা| এক অপরিমেয় আনন্দের সাথে আমরা জানাচ্ছি নিউ মুম্বাইয়ের শী এবং শীমতি দেবেন্দ খাদসে সম্প্রতি 50টি দেশ ভ্রমণের টার্গেট সম্পূর্ণ করেছেন এবং গোয়া থেকে শী দিগম্বর আমরুসকার খুব শীঘই এই মাইলস্টোন পূর্ণ করতে চলেছেন| ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়! আমাদের পর্যটকদের জন্য আমরা ট্র্যাভেল পোটফোলি তৈরী করি এবং তাদের ট্র্যাভেল ক্যালেন্ডারও আমরা অনেক চিন্তা ভাবনার সাথে নিখুঁত ভাবে পস্তুত করি যাতে পতিদিন ওনারা একটা নতুন জায়গা দেখতে পান| এখন এই বছরের জন্য আমাদের ট্র্যাভেল মিশনের লক্ষ্যকে স্থির করা এবং পরিপূর্ণ করারসময় এসে গেছে|
কি খাবেন কি ভাবে খাবেন?
গত অগাস্ট মাসে আমরা ‘ওনাম’ উদযাপন করেছিলাম, কেরালার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ 10 দিন ধরে পালিত উৎসব| সেই সময়ে আপনারা নিশ্চয়ই কলা পাতার ওপর পরিবেশিত ওনাম সাদ্ধ্যা রিলগুলিসোশাল মিডিয়াতে দেখেছেন| ওই সময়ে কলকাতা অনেক কেরালা রেস্তোরাতে এই সাদ্ধ্যা মিলপাওয়া যেত | এখন এই ‘সাদ্ধ্যা’ এতটাই জনপিয়তা লাভ করেছে যে আপনি যখন কেরালা যাবেন তখন এটিকে ‘মাস্ট ট্রাই’ তালিকার মধ্যে আপনাকে রাখতেই হবে, তাই না? ওনামের সাথে সংযুক্ত কেরালা থালি সম্পর্কে পৌরাণিক কাহিনীও পচলিত| শোনা যায় বালিরাজা তাঁর পজাদের সাথে দেখা করার জন্য বছরে একবার এই ধরাতলে নেমে আসেন এবং ওনামের এই দিন গুলিতে তাঁকে স্বাগত জানাবার জন্য সাদ্ধ্যা আহার পস্তুত করা হয়| সাদ্ধ্যা আহারের মধ্যে থাকে বিভিন্ন পকারের এক থেকে দু ডজন খাবার সামী, কখনও কখনও যা 64 পকারের খাদ্যসামীতেও পৌছে যায়|এটি পস্তুত করতে অন্তত পক্ষে 60 পকারের উপাদান লাগে| সাদ্ধ্যা-তে যা অন্তর্ভুক্ত থাকে তা হল কারি, সবজী, মিষ্টি এবং বিভিন্ন পকারের স্বাদের সমষ্টি যেমন, মিষ্টি, নুন, ঝাল এবং টক যা আপনার স্বাদকে আরো রসোময় করে তুলবে| এটি যেহেতু কেরালার খাবারএই রন্ধন পণালীতে নারকেল তেলের সাথে নারকেলেরও গুরুত্বপূর্ণ মাত্রায় পয়োগ হয় যা শরীরের জন্যেও উপকারী| সাদ্ধ্যা খাবারে ঘি এবং গুড়ের বাড়তি পয়োগ করা হয়এবং বিভিন্ন পকারের পালসেস (ডাল এবং শস্য)-ও যোগ করা হয়| কিন্তু এই সাদ্ধ্যা খাবারের মধ্যে ঝালের পরিমাণ খুবই কম থাকে এবং এর মধ্যে আমরা মৌসুমী সবজীর টাটকা স্বাদ এবং অন্যান্য উপাদানের স্বাদও সম্পূর্ণ মাত্রায় আস্বাদন করতে পারি| কিছু কিছু খাবারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে উপেরি, শর্করা ওয়ার্তি,এঙ্গি, কারি, পাপ্পাডাম, রসম এবং পায়েসাম| ভীণা ওয়ার্ল্ড টু্যরের সাথে কেরালা ভ্রমণের সময় আমাদের পর্যটকদের জন্য আমারা কেরালার ঐতিহ্যপূর্ণ রন্ধনপণালীতে তৈরী এই বিশেষ খাবারটির স্বাদ হণ করার বিশেষ ব্যাবস্থা রাখি যার স্বাদকে ওনারা উপভোগ করেন, শুধু ওনামের সময়েই নয়, এমনকি ওনাম উৎসবের পরবর্তী সময়েও আমাদের পর্যটকরা কেরালার এই ঐতিহ্যবাহী সমৃদ্ধ সাদ্ধ্যা খাবার উপভোগ করতে পারেন, ঠিক যেমন আমরা আমাদের টু্যর থেকে জীবনের আনন্দকে খুঁজে নিতে পারি|
ভীণা ওয়ার্ল্ড ছোট ভ্রমণ বড় মজার ছোট ধামাকা!
আমাদের কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবন উভয়েরই অবিচ্ছেদ্য অংশ হল ক্যালেন্ডার| এমনকি এই ডিজিটাল যুগেও, যেখানে ক্যালেন্ডার এবং বিভিন্ন সময়সূচী অ্যাপ আমাদের ফোনের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে, সেখানেও দেওয়ালে টাঙানো ক্যালেন্ডারের আকর্ষণ অপরিবর্তনীয়| দশমী আসার সঙ্গে সঙ্গে আগামী বছরের ক্যালেন্ডারের জন্য পত্যাশা ও পতীক্ষা শুরুর সাথে সাথে থাকে অফিসের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে বিতরণের কাজটিও| এরপরে যা ঘটে তা অনেকের কাছেই খুব পরিচিত একটি দৃশ্য - কিছু সময়ের জন্য হাতের কাজগুলিকে সরিয়ে রেখে পত্যেকে সাহে আসন্ন ছুটির দিন, লং উইকএন্ড, এবং দুর্ভাগ্যবশত যে ছুটির দিনগুলি রবিবার পড়েছে সেগুলি খুব মনোযোগ সহকারে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে শুরু করে, আর সেইসঙ্গে শুরু হয় সহকর্মীদের মধ্যে আকাঙ্ক্ষিত ছুটি নিয়ে জল্পনাকল্পনা ও আলাপ আলোচনা| যদিও ক্যালেন্ডার আমাদের কাজের সময়সূচী ঠিক করা এবং সংগঠিত ভাবে কাজ করতে সাহায্য করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই তা মনোযোগের বিচু্যতি ঘটিয়ে আমাদের মূল্যবান সময়ের অপচয় ঘটায়| তা সত্বেও, এটা দেখে ভালো লাগে যে আমাদের টিম পর্যটকদের এক ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতার সাক্ষী করার জন্য পতিশতিবদ্ধ, সেইসাথে লং উইকএন্ডগুলিতে টুকটাক বেরিয়ে পড়াকেও তারা অাধিকার দেয়়| আজকের কর্পোরেট দুনিয়ায়, বড় ছুটি নেওয়া একটি বিরল ঘটনা, এমন কি তা মঞ্জুর হলেও, অনেকেই তীব পতিযোগিতার বাজারে তাদের পদ হারানোর আশঙ্কায় তা নিতে দ্বিধাবোধ করেন| তাই স্বাভাবিকভাবেই, লং উইকএন্ডের এই ধারণাটি দিনে দিনে খুব জনপিয় হয়ে উঠেছে, যার ফলস্বরূপ, টু্যরিস্ট ডেস্টিনেশনগুলিতে বেড়েছে ভিড়, বেড়েছে হোটেলের দাম আর বেড়েছে পিক টাইমে ফ্লাইটের টিকিটের দামও, যা চার থেকে পাঁচদিনের এই সংক্ষিপ্ত ভ্রমণকে করে তুলেছে বিশীরকম ভাবে ব্যয়বহুল| এই উপলব্ধিই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে সাহায্য করেছে| ছোট টু্যর কেন লং উইকএন্ডে সীমাবদ্ধ থাকবে? পর্যটকদের কেন বেশি খরচ এবং অত্যধিক জনাকীর্ণ জায়গায় রাখা হবে? আমাদের কাছে সমাধান খুব সহজ: সারা বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে ছোট ছোট টু্যর অফার করুন| এই কৌশলগত পরিবর্তন সফল পমাণিত হয়েছে, ছোট ছোট টু্যরগুলি এখন খুবই জনপিয হয়ে উঠেছে| সবচেয়ে জনপিয়় গন্তব্যগুলির মধ্যে হরিদ্বার, ঋষিকেশ, কুরুক্ষেত্র, পানিপথ, পন্ডিচেরি, মহাবালিপুরম, গুজরাটের রণ উৎসব, পাটান, মোধেরা, স্ট্যাচু অফ ইউনিটি, ইন্দোর, উজ্জয়িনী, মান্ডু, উদয়পুর, কুম্ভলগড়, জাওয়াই, বুন্দি, ভাঙ্গগড়, কিষানগড়, জয়পুর, দিল্লি, আা, সারনাথ, বারাণসী, অযোধ্যা, লক্ষ্ণৌ এবং শাবস্তী রয়েছে| এই টু্যর সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য, www.veenaworld.com ঝণড্ড-এ ভীণা ওয়ার্ল্ড ওয়েবসাইটটি দেখুন| তাহলে, চলুন একসাথে এই যাত্রা শুরু করি, চলো, বাগ ভরো, বেরিয়ে পড়ো!
পার্স সতর্কতা!
ভ্রমণকারীদের জন্য পার্স একটি অপরিহার্য জিনিস, একজন টু্যর ম্যানেজার হিসাবে আমার পনেরো বছরের কর্মজীবন জুড়ে এটি আমার সর্বক্ষনের সঙ্গী| একটি পর্যবেক্ষণ সামনে আসে: মহিলারা পার্স নিলেও পুরুষরা কিন্তু সাধারণত মানিব্যাগ নেন| আমি খুব কমই পার্স নেওয়া পুরুষ পর্যটক দেখেছি| যাইহোক, ভ্রমণের সময় আমি নারী বা পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই একটি পার্স বহন করার সুবিধার পক্ষপাতী| তা সে ক্রস-শোল্ডার পার্সই হোক,বা হালকা ওজনের ব্যাকপ্যাক, অথবা কোমরের থলি যাই হোক না কেন, একটা নির্দিষ্ট ব্যাগ থাকলে জিনিষপত্র যথাযথভাবে গুছিয়ে রাখা সম্ভব হয়| পায়শই, মহিলারা এই ধরনের অনুরোধের সন্মুখীন হন যে, “আপনি কি আপনার পার্সে আমার চশমাটা রাখতে পারেন?’’ অথবা “আপনি কি এটা একটু ধরতে পারবেন?’’ এইধরনের অভ্যাস আমাদের পার্সগুলিকে অত্যধিক জিনিসে ঠাসা এবং ভারী করে তোলে| এবার সময় এসেছে এই বোঝা অন্যের ঘাড়ে চাপানোর| ভ্রমণের সময় পত্যেকেরই উচিত তাদের নিজস্ব জিনিসপত্রের দায়িত্ব নেওয়া, স্বাধীনতা এবং আত্মনির্ভরতা বাড়ানো| কার্যকর পার্স ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়| ভ্রমণে বের হওয়ার আগে, পার্সটি খালি করা এবং সেটিকে সঠিকভাবে গুছিয়ে রাখা অত্যন্ত জরুরী| আইটেমগুলিকে বিভিন্ন কম্পার্টমেন্টে ভাগ করা একটিতে পাসপোর্ট এবং টিকিট, অন্যটিতে টাকা এবং ক্রেডিট কার্ড এবং তৃতীয়টিতে একটি হালকা মেকআপ কিট - যা সহজে সবকিছু খুঁজে পেতে সাহায্য করে এবং পিঠ বা কাঁধের উপর চাপ কমায়়| এছাড়াও, টিসু্য পেপার, রুমাল এবং ওষুধের মতো পয়োজনীয় জিনিসগুলি গুছিয়ে রাখার ফলে ভ্রমণের সময় সুবিধা হয়| মোবাইল ফোন রাখার জন্য বাইরের জিপ সহ একটি পার্স বেছে নিলে সুবিধা এবং নিরাপত্তা দুটিই পাওয়া যায়| একটি হালকা পার্স অথবা বিকল্প হিসাবে একটি ছোট ব্যাকপ্যাক এবং একটি মাঝারি আকারের সু্যটকেস নিয়ে ভ্রমণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়| ব্যক্তিগতভাবে, আমি একটি কমপ্যাক্ট স্টলার কেবিন ব্যাগ পছন্দ করি, যা শুধুমাত্র অফিসের নথিপত্র, আইপ্যাড, স্পিকার এবং হেডফোনগুলিকে গুছিয়ে রাখতেই সাহায্য করে না এমনকি হাঁটার সময়ও দ্বিগুণ সাহায্য করে| ভ্রমণের সময় নিজের পার্সকে সুরক্ষিত রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ| ভীণা ওয়ার্ল্ডের টু্যর ম্যানেজারা বার বার মনে করিয়ে দেওয়া সত্ত্বেও, চুরির ঘটনা এখনও ঘটে চলেছে| সতর্ক থাকা এবং যেখানে সেখানে পার্স ফেলে রাখা একদম উচিত নয়| সাধারণত যেসব সময় পার্স হারিয়ে যাবার সম্ভবনা থাকে তাদের মধ্যে হল ফটো তোলা এবং খাবার নেওয়ার সময় পার্সটিকে পিছনে ফেলে আসা| পার্স চুরি, হারানো বা ভুলে যাওয়ার ঘটনা যে কোনো জায়গায় ঘটতে পারে বিমানবন্দর, রেস্টরুম, ট্রেন বা ক্রুজ-এ| চোরেরা, বিশেষ করে ঘনবসতিপূর্ণ শহুরে এলাকায়, এই ধরনের পরিস্থিতিকে কাজে লাগাতে পারদর্শী| তাই, ভ্রমণকারীদের জন্য আবশ্যক হল সাবধানতা অবলম্বন করা এবং অপয়োজনীয় ঝুঁকি এড়ানো, যাতে তাদের একটি আনন্দদায়ক এবং ঝামেলামুক্ত ভ্রমণ অভিজ্ঞতা হয়|
আমরা আপনার আকর্ষণীয় ভ্রমণ সংক্রান্ত গল্প পড়তে চাই| ইমেল: stories@venaworld.com
Post your Comment
Please let us know your thoughts on this story by leaving a comment.