Published in the Sunday Anandabazar Patrika(ABP) on 11 August 2024
কয়েক মাস আগে, আমাদের কাছে একদম স্বতন্ত্র কিছু অনুরোধ নিয়ে এলেন আমাদেরই তিনজন অতি বিশিষ্ট অতিথি। এক দম্পতি তাঁদের মধুচন্দ্রিমার জন্য খুঁজছিলেন একটি নিখুঁত হনিমুন স্পট। স্বাস্থ্য-সচেতনতাকেই তাঁরা প্রাধান্য দিয়েছিলেন ঐতিহ্যবাহী রেস্টুরেন্টগুলির চেয়ে। এরই ফলস্বরূপ, আমরা একটি বিলাসবহুল ছুটির প্যাকেজ তৈরি করেছি, যার মধ্যে থাকছে একটা বিশ্রামের নিভৃতি, স্পা চিকিৎসা, এবং অপূর্ব রোমান্টিক ডিনারের পর ইতালির লেক কোমোর নির্মল সৌন্দর্য। আরেকটি পরিবার তাদের ছেলের স্কুল থেকে কলেজে জীবনে উত্তীর্ণ হওয়ার আনন্দে আমাদের কাছে এসেছিলেন, ফুটবলের প্রতি তার আবেগকে মাথায় রেখে। তাদের মনের বাসনাটিকে বুঝে এবং যাতে তাঁরা এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা লাভ করেন, তার জন্য আমরা স্পেনের ফুটবল স্টেডিয়ামগুলির একটিতে ব্যক্তিগত সফরের ব্যবস্থা করেছি। স্পেন এবং পর্তুগাল, -এই দুই জায়গাতেই তাঁরা ইচ্ছেপূরণ করতে পেরেছিলেন এবং সেখানে তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী খেলায় তাঁরা অংশগ্রহণও করতে পেরেছিলেন। সবশেষে, অতি সাধারণ অভিজ্ঞতার বাইরে বেরিয়ে এক মহিলার স্বামী তার জন্মদিনে তাকে একটা চমক দিতে চেয়েছিলেন। সাবধানতা অবলম্বন করে, তাঁদের আমরা একটি ব্যক্তিগত ইয়টে করে একটি স্বতন্ত্র দ্বীপ-হপিং অ্যাডভেঞ্চারের আয়োজন করেছি। যেখানে খুশি ইচ্ছামতো সেখানে ঘোরার স্বাধীনতাও পেয়েছেন তাঁরা। ভ্রমণের সঙ্গে নিজের এবং প্রিয়জনদের নিয়ে জীবনের এই বিশেষ বিশেষ মুহূর্ত উদ্ যাপন, খুবই তাৎপর্যবাহী হয়ে ওঠে। নিজস্ব পছন্দের এই সব অভিজ্ঞতা শুধু স্মৃতির মণিকোঠায় সঞ্চিতই হয় না, তা স্থাপন করে এক অনন্যসাধারণ যোগাযোগও।
কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবনের সূক্ষ্ম ভারসাম্য যাঁরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, এমন ব্যক্তিদের আমি খুবই পছন্দ করি, শ্রদ্ধা করি। তাঁরা নিজেদের এবং তাদের প্রিয়জন উভয়ের জন্য সময় উৎসর্গ করেন। সাধারণত, আমি আমার নিজের জন্মদিন উদ্ যাপন করা নিয়ে বেশি মাথা ঘামাব না। এটি একটি অন্যরকম দিন হবে, যথারীতি ব্যবসা সহ: অফিসে একটি ট্রিপ, সহকর্মীদের কাছ থেকে শুভেচ্ছা, এবং আমার পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে কাটানো একটি সন্ধ্যা। তবে সাম্প্রতিক লকডাউনের অভিজ্ঞতা আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে একটা পরিবর্তন এনেছে। আমি নিজেকে খুঁজে পেয়েছি আমার পরিবারের বন্ধু এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে আমার জীবনের প্রতিটি বিশেষ উপলক্ষ্য উদ্ যাপন মধ্য দিয়ে। এর সবচেয়ে ভালো উপায় হল কোনও একটা ছুটির দিন শুরু করা বা তাদের একটি উপহার দেওয়া। ব্যাপারটা গতানুগতিক শোনালেও, একটা উদ্ যাপনের মধ্যে কিন্তু মূল্যবান বস্তুগত সম্পদ ছাড়াও আনন্দের মুহূর্তগুলোই স্থায়ী স্মৃতি হিসেবে নিহিত থেকে যায়। এই অনুভূতি মাথায় রেখেই, গত বছর আমি আমার জন্মদিন ভিন্নভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি আমার এবং আমার পরিবারের সঙ্গে কর্ণাটকে ইভলভ ব্যাক হাম্পিতে একটি বিলাসবহুল ছুটি কাটিয়েছি। আগে হাম্পি পরিদর্শন করে, এই এলাকাটির সৌন্দর্যের আকর্ষণে গভীরভাবে প্রেমে পড়েছিলাম। এই অভিজ্ঞতা আমি আমার প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগ করতে আগ্রহী। এটা আমাকে ভাবিয়েছিল যে, অসংখ্য বিদেশি পর্যটক হাম্পিতে আসছেন, যেখানে অনেক ভারতীয় পর্যটক এই এলাকাটির পরতে পরতে থাকা বিস্ময় এখনও আবিষ্কার করতে পারেননি। আমি আমাদের ভ্রমণের নিখুঁত পরিকল্পনা করেছিলাম, এবং শীঘ্রই, বীণা, সুধীর, আমার মেয়ে সারা এবং আমার মা হাম্পি ভ্রমণে আমার সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। ইভলভ ব্যাকের কমলাপুরা প্রাসাদের হোটেলে থাকার জন্য বেছে নিতে পারেন, আমরা একটি অত্যাশ্চর্য পুল ভিলার খোঁজ পেয়েছিলাম। যখন পুলের ধারে ছিলাম, হাম্পির নির্মল সৌন্দর্যে আচ্ছন্ন হয়েছিলাম। ভালো লাগার একটা নিবিড় অনুভূতি আমার মনের মধ্যে ছেয়ে গিয়েছিল। এমন সুন্দর মনোমুগ্ধকর পরিবেশে জীবনের মূল্যবান মুহূর্তগুলো উদ্ যাপন করতে পেরে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি।
হাম্পিতে আমাদের দিনগুলি আবিষ্কার এবং অন্বেষণেই কেটে গেছে। হাম্পির যে বিখ্যাত সব দ্রষ্টব্য গন্তব্য, সেগুলি পরিদর্শন করতে বেরিয়েছিলাম। আমাদের এই উদ্দীপনার সঙ্গী ছিল একজোড়া ভাল হাঁটার জুতো এবং একজন প্রকৃত গাইড। আমরা প্রথমে গিয়েছিলাম বিরূপাক্ষ মন্দিরে। ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত, এই প্রাচীন মন্দির নিছক একটি স্থান নয়, এটি উপাসনা, ইতিহাস ও ভক্তির জীবন্ত ও মূর্ত প্রতীক। এই সুবিশাল গোপুরম মন্দিরের অসামান্য বৈশিষ্ট্য, এটি কারুকার্যময় খোদাই এবং প্রাণবন্ত ভাস্কর্য দ্বারা সজ্জিত। মন্দিরের গর্ভগৃহে ভগবান বিরূপাক্ষের পবিত্র লিঙ্গ রয়েছে, যেখানে ভক্তরা পূর্ণ বিশ্বাস সহযোগে প্রার্থনা করেন। এই মন্দির কমপ্লেক্সটি স্থাপত্যের এক বিস্ময়। এটি হাম্পির সমৃদ্ধ ইতিহাস, প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ এবং সুন্দর দৃশ্যপটের একটি আভাস দেয়। আমরা মন্দির চত্বরের মধ্যে সারিবদ্ধ প্রতিমা, হাতি-লক্ষ্মীর থেকে আশীর্বাদ নিলাম। প্রাচীন ভারতের উন্নত প্রযুক্তি দেখে অবাক হয়েছিলাম। আর্কিটেকচারটি এমনভাবে তৈরি যেন এটি একটি পিনহোল ক্যামেরার মতো, যার ভিতর দিয়ে গোপুরম দেখা যায়। আগামী তিনদিন বিরূপাক্ষ মন্দির ছাড়াও, আমরা রাজকীয় হেমাকুটা পাহাড় অন্বেষণ করেছি, যা প্রাচীন মন্দির এবং আশেপাশে ল্যান্ডস্কেপের প্যানোরামিক দৃশ্য দ্বারা সজ্জিত। হাজরা রাম মন্দির, চিত্রিত, জটিল ব্যাস-রিলিফ দিয়ে সজ্জিত রামায়ণের দৃশ্যগলি, তার এর শৈল্পিক উজ্জ্বলতা আমাদের বিস্মিত করে। যখন বই এবং কম্পিউটার ডেটার কোনো অস্তিত্ব ছিল না, এই সহজ ধারণাগুলোই ছিল তখনকার সম্পদ। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য দেয়ালে খোদাই করা এই গল্পগুলি অমূল্য সম্পদ। খোলা আকাশের লাইব্রেরির মতো! নদীর ধারে অবসরে হেঁটে বেড়ানো শহরের মধ্যে প্রশান্তির মুহূর্ত দেয়, তুঙ্গভদ্রা নদীর সৌন্দর্য এবং এর আশেপাশের দৃশ্যও আমরা প্রাণভরে উপভোগ করেছি।
হাম্পির প্রতিটি মোড়ে সবসময় বিস্ময়কর, জটিল স্থাপত্য এবং ভাস্কর্য দেখা যায়। আমাদের পরবর্তী গন্তব্য ছিল হাম্পির সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইটগুলির মধ্যে একটি- মহৎ ভিট্টল মন্দির। আমরা এর পাথরের রথের জাঁকজমক দেখে এবং সঙ্গীত স্তম্ভের সুর শুনে মুগ্ধ হয়েছিলাম। আমাদের গাইড তখন একটি পঞ্চাশ টাকার নোট বের করে আনলেন, আমরা পাথরের রথের সামনে হাতে পঞ্চাশ টাকার নোট নিয়ে ছবি তোলার জন্য সুন্দর করে পোজ দিলাম। এর ঐতিহাসিকতার ধন সম্পদের বাইরেও হাম্পির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং রুক্ষ ল্যান্ডস্কেপ আমাদের মুগ্ধ করেছিল। ভারসাম্য রক্ষাকারী শিলা, অনিশ্চিতভাবে পাথুরে ভূখণ্ডের মধ্যে অবস্থান করা, মাধ্যাকর্ষণকে অস্বীকার করলেও যেন আমাদেরকে পুনরায় অন্বেষণ করার ইঙ্গিত দিয়েছিল। আমরা আরও দুঃসাহসিক ট্রেকিং শুরু করেছিলাম, হাম্পির অবিস্মরণীয় দৃশ্যে এবং নবীন সৌন্দর্যে যেন আমরা ডুবে গিয়েছিলাম। অন্বেষণ ছাড়া হাম্পি ভ্রমণ সম্পূর্ণ হয় না। রাজকীয় ঘেরের রাজকীয় ধ্বংসাবশেষ, যেখানে প্রাসাদের অবশেষ, হাতিশাল এবং আনুষ্ঠানিক প্ল্যাটফর্মগুলি বিজয়নগর সাম্রাজ্যের
ঐশ্বর্যের আভাস দেয়। পদ্ম মহল, এর চমৎকার ইন্দো-ইসলামিক স্থাপত্য, রাণীর স্নান, - সবই মন কেড়ে নেয়। প্রাচীনকালের একটি অত্যাশ্চর্য নিদর্শন বলা যায়। প্রাকৃতিক, ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক – সব দিক থেকেই হাম্পি একটি অবশ্য দর্শনীয় স্থান।
কিন্তু হাম্পি শুধু স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনের জায়গা নয়। আমি সর্বদা এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বিমোহিত হই এবং একবার দেখে তা কখনোই আমার কাছে যথেষ্ট মনে হয় না। হাম্পির ল্যান্ডস্কেপ এর বিস্ময়কর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, তার এবড়োখেবড়ো ভূখণ্ড, মহিমান্বিত পাথর এবং নির্মল নদীতীর একটি পরাবাস্তব, মনোমুগ্ধকর পরিবেশের আবহ আনে। বিশাল গ্রানাইট বোল্ডারগুলি মাধ্যাকর্ষণকে অস্বীকার করে, মনে হয় কেউ যেন একটি বিশাল হাত দিয়ে একে অপরের উপরে স্থাপন করেছে এদের। এই পাথর জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে প্রকৃতির শক্তি, যা লক্ষ লক্ষ বছর ধরে হাম্পির ল্যান্ডস্কেপে খোদাই করা হয়েছে। নান্দনিক আবেদনের বাইরেও রয়েছে আরও একটা অন্য বিষয়। এই বোল্ডারগুলি বিশ্বজুড়ে অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় এবং রক ক্লাইম্বারদের একটি প্রিয় জায়গা।
সব মিলিয়ে হাম্পি ভ্রমণ সম্পূর্ণরূপে আনন্দদায়ক ছিল। বিমানবন্দরে ফেরার পথে আমরা গত কয়েকদিনে জড়ো হওয়া সুখ স্মৃতিগুলো আবার স্মৃতিচারণ করলাম। রাস্তার ধার থেকে একজন বিক্রেতার কাছ থেকে কেনা পুরানো দিনের লেবু জলে চুমুক দেওয়ার কথা, স্যুভেনির নিয়ে বুঁদ হয়ে থাকা, পুলে ডুব দিয়ে রিফ্রেশ হওয়া, পাহাড়ের চূড়া থেকে বিস্ময়কর সূর্যাস্তের সাক্ষী হয়ে
বিস্তৃত ল্যান্ডস্কেপের প্রশংসা করা, এমনকি ক্লান্ত পায়ে হাঁটার পর প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভের সিঁড়িতে বসে বিশ্রামের
মধ্য দিয়ে সান্ত্বনা খুঁজে পাওয়া-- সবই আমাদের মনে
ফিরে ফিরে আসছিল।
ভীণা ওয়ার্ল্ডে, আমরা প্রতিটি সফরে এই আনন্দের মুহূর্তগুলির সাক্ষী থাকি। আমাদের অতিথিদের জন্য ব্যক্তিগত ছুটির দিন বা এসকর্টেড গ্রুপ ট্যুর--- যেকোনো ট্যুরই হোক না কেন তা খুব ভেবেচিন্তে পরিকল্পনা করা হয়। আমাদের প্রিয় পর্যটকরা তাঁদের জন্মদিন, বার্ষিকী, বা অন্যান্য বিশেষ অনুষ্ঠান উদ্ যাপন করার সময় সারা জীবনের স্মৃতি ক্যাপচার করে রাখুন আমাদের সঙ্গে। আপনি ভীণা ওয়ার্ল্ড উপহার কার্ডের মাধ্যমে আপনার প্রিয়জনকে উপহার দিতে পারেন আনন্দের নানা মুহূর্ত। সর্বোপরি, পর্যটন মানেই জীবনকে উদ্ যাপন করা।
ভীণা ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মিশন
সারা বিশ্বে জীবনের উদ্ যাপন!
প্রচুর পরিকল্পনা করে অনেক সময়ই ঘোরা যায় না। প্রকৃতির মোহ, বৈচিত্র্যময় লোক ঐতিহ্য, রন্ধনসম্পর্কীয় অভিজ্ঞতা, স্থাপত্যের বিস্ময় এবং ঐতিহাসিক ল্যান্ডমার্ক সহ পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা অনায়াসে আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। গত এক দশক ধরে, ভীণা ওয়ার্ল্ডের সৌজন্যে আমি এবং আমার স্ত্রী সারা পৃথিবী জুড়ে অসংখ্য জায়গা ভ্রমণ করেছি, প্রতিটিই অসাধারণ। যেমন আরামদায়ক, তেমনই উপভোগ্য, এবং অবিস্মরণীয়। এই দশ বছরে আমাদের ভীণা ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে ৩০ টিরও বেশি ট্যুর করেছি, যা আমাদের শুধুমাত্র ভারতের বেশিরভাগ জায়গায় ঘোরার সুযোগ করে দিয়েছে, তা-ই নয়, বিশ্বব্যাপী ৫২টি দেশও পরিদর্শনও করতে দিয়েছে।
দেশ-বিদেশের যেসব জায়গায় নতুন করে ভ্রমণের জাগরণ হয়েছে, সে সব জায়গা যেতে মন চায়। কিছু কিছু জায়গা আছে যেখানে একবার ভ্রমণ করার পর মন ভরে না। র্যাঙ্ক অনুযায়ী কানাডা, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়াকে আমাদের তালিকার শীর্ষে রাখব। এই সমস্ত দেশের নাম করলেই যে সব দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে ওঠে তা হল সবুজ বনানী, মহিমান্বিত পাহাড়ের চূড়া, আদিম সমুদ্র সৈকত এবং মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক ল্যান্ডস্কেপ।
ভীণা ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে আমাদের ভ্রমণ বেশ পছন্দের। তার বড়ো কারণ তাদের ট্যুর ম্যানেজারদের থেকে আমরা একটা ব্যতিক্রমী পরিষেবা পাই। গন্তব্য যাই হোক না কেন, তাঁরা ধারাবাহিকভাবে ও দক্ষতার সঙ্গে আমাদের উষ্ণ পরিষেবা দেন। ভ্রমণের সময় তাঁরা আমাদের কাছে পরিবারের মতো হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, ২০২০ সালে ভিয়েতনাম এবং কম্বোডিয়া ভ্রমণের সময়ের কথা। ফেরার ঠিক দুদিন আগে আমার পা মচকে গিয়েছিল। তখন খুব যত্ন সহকারে আমার মতো বৃদ্ধের দেখভাল করেছিলেন আমাদের ট্যুর ম্যানেজার মেহুল ঘোসালকর। এই বছর কেবল আমরা ভাইজাগ, ডিন্ডি, আরাকু উপত্যকায় ভ্রমণ করেছি, এবং জানুয়ারিতে বোরা কেভ, তারপরে নৈনিতাল, মুসৌরি, হরিদ্বার, হৃষিকেশ, এবং মার্চ মাসে করবেট ঘুরেছি। মে মাসে ব্যাংকক, পাটায়া, ফুকেট, এবং ক্রাবি সফর করেছি। সারা বিশ্বে আমাদের জীবন
উদ্ যাপনের যাত্রা অবিরাম চলতে থাকে।
~ শ্রী প্রবীণ শাহ এবং শ্রীমতী নীলা শাহ, পুনে
কী খাবেন কী ভাবে খাবেন ?
কিছু ছোটো দেশ, বিশ্বের মানচিত্রে শুধুমাত্র বিন্দু হলেও বিশ্বব্যাপী তাদের অনন্য অবদানের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য প্রভাব রেখেছে। দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত এরকমই একটি দেশ হল ক্রোয়েশিয়া। নেকটাই এবং পেনের জন্মস্থান হিসাবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত ক্রোয়েশিয়া। এই দেশ তার চমকপ্রদ খাদ্য সংস্কৃতিকেও উদ্ যাপন করে। খাদ্যের পাশাপাশি এখানকার মনোরম পরিবেশ এবং ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এই রন্ধনসম্পর্কীয় ঐতিহ্য ইতালীয়, তুর্কি এবং অস্ট্রিয়ান রন্ধনপ্রণালী দ্বারা প্রভাবিত। ক্রোয়েশিয়ার অনন্য খাবার হল ফ্রুটিউল। ফ্রুটিউলকে প্রথমে দেখেই মিনি ডোনাট মনে হবে। কিন্তু এই বিশেষ ক্রিসমাস প্যাস্ট্রির একটি স্বতন্ত্র এবং সুস্বাদু গন্ধ আছে।
ফ্রুটিউল এক ধরনের ফ্রিটার, যা সাধারণত ভাজা খাবারকে বোঝায়। কিন্তু এগুলো পেস্ট্রি। নির্দিষ্ট উপাদান দিয়ে তৈরি করে উপরে চিনি ছড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রথাগত ফ্রুটিউল সাইট্রাস জেস্ট (লেবু বা কমলার খোসার পেস্ট) এবং ইস্ট যোগ করে প্রস্তুত করা হয়। কিশমিশ এবং সূক্ষ্মভাবে কাটা আখরোট ময়দার সঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণটিকে এক ঘন্টা রেখে দিতে হয়। ইস্ট দেওয়ার ফলে মিশ্রণটি গেঁজে ওঠে। তারপর এটি ছোটো আকারের বল বানিয়ে ভাজা হয়। গরম থাকতে থাকতেই তার উপর গুঁড়ো চিনি, ম্যাপেল বা চকোলেট সিরাপ ছিটিয়ে দেওয়া হয়। ঐতিহ্যগত রেসিপি অনুযায়ী, রাম বা ব্র্যান্ডি ব্যাটারে যোগ করা হয়, যা শুধু স্বাদই বাড়ায় না ফ্রুটিউলকে ভাজার সময় অত্যধিক তেল শুষে নিতে বাধা দেয়। ক্রোয়েশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ফ্রুটিউলের মধ্যে স্থানীয় ফল এবং বাদাম মিশিয়ে সেটির স্বাদে বৈচিত্র্য আনা হয়। এটি সাধারণত শুধুমাত্র ক্রিসমাসের জন্য তৈরি হত, কিন্তু এখন সারা বছরই পাওয়া যায়। প্রায়ই এটি ব্রেকফাস্টে বা সন্ধেবেলা কফির সঙ্গে দেওয়া হয়।
আপনি যদি ভীণা ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে ক্রোয়েশিয়া ভ্রমণ করেন তবে ফ্রুটিউলের স্বাদ নিতে ভুলবেন না। ভীণা ওয়ার্ল্ডের ‘ট্রাভেল এক্সপ্লোর সেলিব্রেট লাইফ’ পডকাস্ট শুনতে একেবারেই ভুলবেন না। এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাদ্য সম্পর্কে জানতে এবং বিশ্বের সমস্ত ভ্রমণযোগ্য স্থান সম্পর্কে অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারবেন।
হায়! আমি এটা জানতামই না…
পৃথিবীতে এমন কিছু দেশ আছে যেগুলোর পরিচয় আপনি ইতিহাস এবং ভূগোল বই থেকে পেয়ে থাকেন, কারণ তাদের ভৌগোলিক অবস্থান ইতিহাসকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছে। এমনই একটি দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। এই নামটা শুনলেই, আমরা মহাত্মা গান্ধী থেকে নেলসন ম্যান্ডেলার মতো বিখ্যাত ব্যক্তিত্বকে স্মরণ করি। এছাড়াও হীরার খনি, বিস্তৃত দ্রাক্ষাক্ষেত্র এবং বৈচিত্র্যময় বন্যপ্রাণীর কথাও আমাদের মনে পড়ে। বিশ্বের প্রথম হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি এই দেশেই হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার তিনটি রাজধানী রয়েছে: প্রশাসনিক রাজধানী প্রিটোরিয়ায়, ব্লুমফন্টেইনে বিচার বিভাগীয় রাজধানী এবং আইনসভার রাজধানী কেপ টাউনে। কেপ টাউন, দেশের প্রাচীনতম শহর, এখানেই রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্ট। অসংখ্য ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক নিদর্শন রয়েছে এখানে। টেবিল মাউন্টেন এবং কেপ পয়েন্ট এই শহরের বিশিষ্ট বৈশিষ্ট্য। পনেরো শতাব্দীতে বার্তোলোমেউ ডায়াস নামে একজন পর্তুগিজ অভিযাত্রী, এই শহরের কাছাকাছি এসেছিলেন। বিশ্বের ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হয়ে আছে। যেহেতু উসমানীয় সাম্রাজ্য ইউরোপ থেকে এশিয়ার স্থলপথ অবরুদ্ধ করেছিল, তাই ইউরোপীয় দেশগুলো সমুদ্র পথ চেয়েছিল ভারত এবং অন্যান্য এশিয়ান দেশগুলির কাছে যাওয়ার জন্য। তারই অভিযানে বার্তোলোমেউ ডায়াস দক্ষিণ আফ্রিকার ‘কেপ অফ গুড হোপ’ পৌঁছেছিলেন। এরফলে পাশ্চাত্যের অধিবাসীদের কাছে একটি পূর্ব পথ খুলেছে। প্রথমে রুক্ষ সমুদ্রের কারণে জায়গাটির নামকরণ করেন ‘কেপ অফ স্টর্মস’, পরে তিনি এশিয়ায় পৌঁছানোর আশাবাদকে বোঝাতে এর নামকরণ করেছেন, ‘কেপ অফ গুড হোপ’।
‘কেপ অফ গুড হোপ’ আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলে একটি পাথুরে সৈকতাংশ। এটি আটলান্টিক এবং ভারত মহাসাগরের মধ্যে বিভাজন বিন্দু নয়। কেপ অফ গুড হোপ কেপ টাউন থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে এবং এখানকার ভূমধ্যসাগরীয় জলবায়ু বেশ মনোরম। এখানকার গ্রীষ্মের বাতাস ‘দ্য কেপ ডক্টর’ নামে পরিচিত, কারণ তা বাতাসকে বিশুদ্ধ করে এবং সামুদ্রিক জীবনযাত্রাকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করে। এই এলাকাটি টেবিল মাউন্টেন ন্যাশনাল পার্কের অংশ, যা জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। কেপ অফ গুড হোপের কাছে সমুদ্র প্রায়শই রুক্ষ হয়, যার
ফলে শত শত জাহাজ ধ্বংস হয়েছে। ‘ফ্লাইং ডাচম্যান,’ এর একটি বিখ্যাত ভূতের গল্পে বলা আছে, একটি জাহাজ চিরকালের জন্য কেপের সমুদ্রপথে ঘুরে বেড়াবে।
এখানে ১৮৫০ সালে নির্মিত বাতিঘরটি পর্যটকদের আকর্ষণে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে ঐতিহাসিক এবং ভৌগোলিক ঐতিহ্যকে ধারণ করে থাকা ‘কেপ অফ গুড হোপ’ আপনি যদি পরিদর্শন করতে চান, তাহলে ভীণা ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যোগ দিন।
জীবনব্যাপী যাত্রাপথে যোগ দিন আমাদের সঙ্গে
একটি জীবনকাল আমাদের সমগ্র বিশ্ব ঘুরে বেড়ানোর জন্য যথেষ্ট নয়, ভারতই যেখানে একটি বিশাল বিস্ময়। এই কারণেই সবসময় আরও কিছু দেখার থাকে, এবং প্রতিবার নতুন কিছু অ্যাডভেঞ্চারের জন্য যাত্রা করি। মাস দুয়েক আগে, আমি আমাদের একজন শ্রদ্ধেয় শুভাকাঙ্ক্ষী শ্রী সন্তোষ লোধার ফোন পেয়েছি, যিনি আগে আমাদের সফরে যোগ দিয়েছিলেন যখন আমি একটি সফরে ম্যানেজার হিসাবে কাজ করতাম।
তিনি প্রস্তাব দিলেন, ‘চলুন সবাই মিলে সফরে যাই’। সেই মুহূর্তে সুধীর আর আমি গাড়িতে ছিলাম। আমি সুধীরকে পরামর্শ দিয়েছিলাম, ‘কেন আমাদের অতিথিদের আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন না? ভীণা ওয়ার্ল্ড ট্যুরের অভিজ্ঞতা নিতে দিন এবং পর্যটকদের দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের পরিষেবা দিতে দিন। ঠিক এই ধারণা থেকেই আমাদের সফর শুরু হয়েছিল। ভারতের উত্তর প্রান্ত থেকে শুরু করে, আমাদের এখনও অনেক গন্তব্য রয়েছে। তুর্তুক, হানলে এবং লাদাখের আরিয়ান উপত্যকাসহ সবই আমাদের অনুসন্ধানের অপেক্ষায়। আমরা এখনও পর্যন্ত কাশ্মীরের অসম্ভব সুন্দর লেকগুলি এবং নতুনভাবে আবিষ্কৃত উন্নত জায়গাগুলি যেমন বোটা পাথরি, দুধ পাথরি, দ্রং, অহরবল এবং দাচিগামের মতো গন্তব্য ভ্রমণ করেছি। আমাদের ভ্রমণ মানালি থেকে লেহ পর্যন্ত, মাঝে চন্দ্রতাল পরিদর্শন, রামলল্লার মন্দিরে আশীর্বাদ নেওয়া, এবং গঙ্গায় একটি ক্রুজ সাফারিও করানো হয়। যদিও আমরা আসাম, অরুণাচল এবং মেঘালয় ভ্রমণ করেছি, সেখানেও সেভেন সিস্টারের মধ্যে চারটি এখনও অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। আমরা আন্দামানের মায়াবন্দর এবং দিগলিপুরের মতো নতুন উদীয়মান গন্তব্যগুলি দেখার জন্যেও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি। যদিও আমরা নেপাল, ভুটান, সিকিম এবং দার্জিলিং এর প্রধান শহরগুলি পরিদর্শন করেছি ঠিকই, তবুও এই জায়গাগুলির আরও অনেককিছুই দেখা বাকি। মহারাষ্ট্রেও এমন অনেক জায়গা রয়েছে যা এখনও অদেখা। যেমন লোনার এবং তাডোবা। প্রতিটি রাজ্য অনন্য কিছু ধারণ করে, ঠিক যেন একটি ধাঁধার টুকরোর মতো, যা আপনাকে দিয়ে সাজাতে বলা হবে। জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত আমাদের বছরে প্রায় আটটি ট্যুর পরিচালনা করা হয়। তার মধ্যে বেছে নেওয়া হয় অফবিট এবং অজানা স্থানগুলোকে। এই বছরের আটটি সফরের কর্মসূচি ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে, সুনিলা এবং প্রোডাক্ট টিম প্রতিটি ভ্রমণপথের ডিজাইন করেছেন। এই ট্যুরগুলি এখন ভীণা ওয়ার্ল্ডের ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন৷ সুতরাং, এই যাত্রা শুরু করা যাক একসঙ্গে, হাসি, গান এবং নাচে ভরিয়ে দিয়ে। ফেলে আসা পথের বাইরে আসুন আলাদা কিছু আশা করা যাক, নতুন কোনো পথে!
ভীণা ওয়ার্ল্ড কাস্টমাইজড হলিডেজ
ডর কে আগে... থ্রিল হ্যায়!
আরামে ছুটির দিন না কাটিয়ে যদি অন্য কিছু করতে চান, যেমন ধরুন একটি দুঃসাহসিক অ্যাডভেঞ্চার বা স্কাইডাইভিংয়ের মতো কিছু, তাহলে পাবেন থ্রিল-এর মজা। বাঞ্জি জাম্পিং, প্যারাগ্লাইডিং, হট এয়ার বেলুনিংয়ের মতো অ্যাডভেঞ্চারগুলোও আপনার ছুটির অভিজ্ঞতা হতে পারে। মাটি থেকে হাজার হাজার ফুট উপরে যখন স্কাইডাইভিং করেন কেউ, তখন বাতাসের মধ্য দিয়ে পাখির মতো খোলা জায়গায় উড়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি পেতে পারেন। আপনার শরীরের অ্যাড্রেনালিন আপনার প্যারাসুট খোলা এবং মাটি থেকে দূর আকাশে ভেসে বেড়ানোর একটা রোমাঞ্চকর অনুভূতি এনে দেবে। সম্ভবত, এই বর্ণনা মনে করিয়ে দেবে ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ সিনেমার স্কাইডাইভিং দৃশ্য। সেই দৃশ্যেরই শুটিং হয়েছিল কোস্টা ব্রাভাতে, স্পেনের বার্সেলোনার কাছে। এমনকি আমেরিকাতে লাস ভেগাসে আকাশ থেকে ‘ট্যান্ডেম স্কাই ডাইভ’ও আসতে পারে আপনার লিস্টে। অস্ট্রেলিয়ার কেয়ার্নসের প্রবাল প্রাচীর থেকে রেইনফরেস্ট পর্যন্ত, আকাশ দেখার মতো একটি দর্শনীয় স্থান আছে। নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেশী হিসাবে বিখ্যাত অ্যাডভেঞ্চার করার দেশ। ‘রোটোরুয়া’-এর মতো শহরে অগণিত অ্যাডভেঞ্চার ‘কুইন্সটাউন’ ট্যান্ডেম স্কাইডাইভিং উৎসাহীদের আকর্ষণ করে।
আপনি যদি ইতিমধ্যে থাইল্যান্ড বা হিমাচল প্রদেশে প্যারাগ্লাইডিংয়ের অভিজ্ঞতা অর্জন করে থাকেন, তাহলে এবার বেছে নিন মাইক্রোলাইট সাফারি। একটি মাইক্রোলাইট মানে একটি ছোটো দুই আসনবিশিষ্ট বিমান, এটি প্রায় খোলা আকাশের অভিজ্ঞতা এনে দেয়। জিম্বাবোয়ের
ভয়ঙ্কর ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাতের উপর দিয়ে মাইক্রোলাইট সাফারিতে যাত্রা করুন। আফ্রিকা, একটি অবিস্মরণীয় দুঃসাহসিক অ্যাডভেঞ্চার।
আরেকটি ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয় অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্ট ‘ব্রিজ ক্লাইম্বিং’। অস্ট্রেলিয়ার অসংখ্য আইকনিক সেতুতে এর অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন। অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণে রাখতে পারেন পর্বতারোহণ বা এই উপত্যকার মধ্যে রক ক্লাইম্বিং-এর অভিজ্ঞতা। পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ায় কোস্টারিকার কেবল কার থেকে বাঞ্জি জাম্পিংয়ের অফার আছে। জিপ লাইনিং হল আরেকটি রোমাঞ্চকর ক্রিয়াকলাপ যা আপনাকে জঙ্গলের ছাউনি, সমুদ্রতীর, বা পাহাড়ের উপর দিয়ে পিছলে যেতে দেয়। ‘জ্যাস ফ্লাইট’ হল সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে বিশ্বের দীর্ঘতম জিপ লাইন। ভারতের যোধপুরের দুর্গ মেহরানগড়ে রোমাঞ্চকর জিপ লাইনিংয়ের বিকল্প অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। তুরস্কের হট এয়ার বেলুন থেকে শুরু করে হাইউন্ডেতে স্কাই ক্যাপসুল, বুসান, কোরিয়া, ইত্যাদি জায়গায় বিশ্বব্যাপী আপনার অ্যাড্রিনালিন বাড়ানোর জন্য ছুটির অগণিত বিকল্প রয়েছে। ভীণা ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে বেছে নিন আপনার অ্যাডভেঞ্চার এবং আপনার ছুটিকে সত্যিই উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলুন কারণ ডর কে আগে থ্রিল হ্যায়!
Post your Comment
Please let us know your thoughts on this story by leaving a comment.