Published in the Sunday Anandabazar Patrika(ABP) on 05 May, 2024
"আপনার খেলা কোনটা ?" খুব অনুসন্ধিৎসুভাবে উনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন। আমার নিজেকে খুব অপদার্থ বলে মনে হল, ভাবলাম যে অফিসে পৌঁছানোর জন্য সকালে ট্রাফিকের মধ্য দিয়ে গাড়ি চালানোটাও কি এক ধরণের খেলা বলে বিবেচিত হতে পারে। বিশেষত, মুম্বাইয়ের মতো একটা শহরে দৈনন্দিন জীবনে টিকে থাকাটা অনেকটা যোগ্যতমের বেঁচে থাকার লড়াই বলেও ধরা যেতে পারে। যাইহোক আমি মজা করছিলাম, আসলে আমি সেই উত্তরটাই দেবার চেষ্টা করছিলাম যেটা আমার আয়ত্তের মধ্যে আছে। আমি বললাম, “আমি মাঝে মধ্যে সাঁতার কাটি আর প্রতিদিন ওয়ার্ক আউট করি।" হাওয়ার দিক পর্যবেক্ষণ করতে করতে উনি খুব জোরের সাথে বললেন, "জীবনে প্রত্যেকের কোনো না কোনো একটা খেলার সঙ্গে জড়িত থাকা উচিত ; এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, শুধু শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য নয়, মানসিক সুস্থতার জন্যও। একটি সুখী শরীর মানেই একটি সুখী মন"।
আমি সুইজারল্যান্ডের একটি বরফ জমা লেকের সামনে দাঁড়িয়ে, একদিকে স্কি-র ব্যালেন্স বজায় রাখার এবং একই সাথে আমার ঘুড়িটিকেও ধরে রাখার একটা অসম্ভব চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। আমার প্রশিক্ষক, রাল্ফ, 65 বছর বয়সী একজন অসাধারণ ফিট মানুষ আমাকে ওই বরফে ঢাকা লেকে কাইট সার্ফিং-এর পাঠ দিচ্ছিলেন। কাইট সার্ফিং-এর মতো খেলার কথা আমি কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি, কিন্তু কথায় আছে না, সবসময় নতুন এবং ভিন্ন কিছু করার ক্ষেত্রে প্রথম সুযোগ আসে। (there’s always a first time for something new and different.) আর যদি ভ্রমণের কথাই ধরি, তখন আমরা কি চাইছি সেটাই কি আসল কথা নয়? নতুন গন্তব্যের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে পড়া, নতুন অভিজ্ঞতার স্বাদ নেওয়া, নতুন নতুন খাবার পরখ করা এবং নতুন বন্ধু করার সময় নতুন স্মৃতি সংগ্রহ করা!
রালফ আবার ঘুড়িটাকে ঠিকঠাক করছিল, আর আমি বরফের উপর গ্লাইডিং করছিলাম। রাস্তায় দু একবার পড়ে যাওয়ায় আমা্র পুরো ব্যাপারটায় অভ্যস্ত হতে একটু সময় লাগছিল, তবুও, স্কি শু পড়ে স্কি করতে আমার কিন্তু বেশ ভালোই লাগছিল, সত্যিই উপভোগ করছিলাম। কাজের জন্য সুইজারল্যান্ডে গিয়ে, আমি ঠিক করলাম যে দুপুরে অবসর সময়ে আমি এমন কিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করব যা আগে কখনই করিনি। সুইজারল্যান্ড পর্যটন দ্বারা আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগদানকারী ভারতের একদল ট্রাভেল এজেন্টের অন্যতম সদস্য হিসাবে, এটি একটি বিশেষ এবং একদম অপ্রত্যাশিত কার্যকলাপ ছিল। "ভারতীয় মহিলারা সত্যিকারের দুঃসাহসিক," রালফ খুব গর্বের সাথে বলে ওঠেন, যখন আমি একজন মহিলা সহকর্মীকে হাত নাড়ি যিনি ওই বরফে ঢাকা লেকে ঘুড়ি সার্ফিংয়ে অংশগ্রহণ করছিলেন। আমরা খুব অবাক হয়ে দেখছিলাম যে যেখানে গ্রুপের পুরুষরা ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে আরাম করে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেখানে গ্রুপের মহিলারা কেনাকাটা এবং বিশ্রামের বদলে একটি উত্তেজনায় ভরা হলিডে বেছে নিয়েছেন!
আমি সবসময় নতুন নতুন অ্যাডভেঞ্চারের জন্য প্রস্তুত, তা সে স্থানীয় খাবারের স্বাদ নেওয়াই হোক বা নতুন কোনো অ্যাক্টিভিটি। আর সেটা যদি হয় নতুন কোনো জায়গা তাহলে তো কথাই নেই। আমি যখন আমার বান্ধবীদের সাথে কথা বলি, তা তিনি গৃহিণীই হন বা কোনো কর্মরত মহিলা, তাদের মধ্যে আমি শুধু আমার অনুভূতিরই প্রতিধ্বনি শুনতে পাই আর তারা আমার এই যাত্রায় সঙ্গী হতেও চান। অন্যান্য আরো অনেক কিছু দেখার সাথে সাথে আমরা ক্রোয়েশিয়ায় গাড়ি চালিয়েছি, এমনকি গাড়ি থামিয়ে সমুদ্রে স্নান করেছি, গ্রিসের দ্বীপগুলির মধ্য গিয়ে ওয়াইন টেস্টিং করেছি, প্রাগের সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং স্থাপত্য অবাক চোখে দেখেছি আর সুইজারল্যান্ডে গিয়ে চিজ ফন্ডু ভাগ করে খেয়েছি। সত্যি কথা বলতে এবং আপনাদের অবগত করার জন্য জানাচ্ছি যে, গার্লস ট্রিপ সেরা হলেও, প্রত্যেকের শিডিউলের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখা, সকলের আগ্রহের সাথে মিল রাখা এবং সবশেষে, ছুটি নিয়ে বেড়িয়ে পড়া, এই সবকিছু বাস্তবায়িত করতে যথেষ্ট প্রচেষ্টা লাগে।
অনেক ট্রিপ পরিকল্পনা করা হয় কিন্তু আমাদের সময়সূচীর সঙ্গে মেলেনা বলে তা স্থগিত করতে হয়, আর এটা আমার প্রায়শই মনে হয় যে আমি যদি শুধু একা সেই ট্রিপে যেতাম তাহলে আমার এখনও ছুটি চলত! এইধরনের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিতে, আমরা মানে ভীণা ওয়ার্ল্ড মহিলাদের চাহিদা এবং পছন্দ পূরণ করতে ভারত এবং সারা বিশ্ব জুড়ে বেশ কিছু হলিডের ব্যবস্থা করেছে। বলাই বাহুল্য, এক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার উপর জোর দেওয়া হয়েছে যাতে একজন একা মহিলাও ভ্রমণ করতে পারেন। এছাড়াও, একজন একা মহিলা ভ্রমণকারীর ভীণা ওয়ার্ল্ড উইমেনস স্পেশাল ট্যুরে একজন রুম পার্টনার পাওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া যায়, যাতে তার উপর সিঙ্গেল অকুপেন্সির জন্য অতিরিক্ত চার্জের বোঝা না এসে পড়ে। একবার সমস্ত ভ্রমণ সংক্রান্ত পরিকল্পনার ঝঞ্ঝাট আপনার রাস্তা থেকে দূরে সরে গেলে, আপনাকে যা করতে হবে তা হল মহিলাদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা ৬০টিরও বেশি দূর্দান্ত ট্যুরের মধ্যে থেকে কোনও একটাকে বেছে নিয়ে সেই স্বপ্নের যাত্রায় পাড়ি দিতে হবে।
সুইজারল্যান্ড থেকে ফিরে এসে, একটা ভিন্ন ঋতুতে সুইজারল্যান্ডের মতো একটা জায়গার অভিজ্ঞতা অর্জন করে আমার নিজেকে সত্যিই ধন্য এবং ভাগ্যবান বলে মনে হয়েছিল। ভারতের ক্রাউনিং জুয়েল, কাশ্মীরের মতোই, আপনি যেকোনো ঋতুতেই সুইজারল্যান্ড যেতে পারেন। সাধারণত, আমাদের ভারতীয় অতিথিরা শুধুমাত্র বসন্তকালের এবং গ্রীষ্মকালের কিছু মাস ইউরোপ ভ্রমণে যান। কিন্তু এখন, আমরা দেখছি যে আমাদের সম্মানিত অতিথিদের কাছথেকে শরৎকাল এবং শীতকালেও ইউরোপ ভ্রমণের চাহিদা ক্রমাগত বাড়ছে।
বহু বছর ধরে, সেই আমার ছোটবেলা থেকে, আমি দেখেছি বিগত দিনের বলিউড তারকাদের মধ্যে উচ্ছল প্রাণবন্ত শামি কাপুরকে জনপ্রিয় গান “ইয়াহু” গাইতে গাইতে বরফে ঢাকা পাহাড়ের ঢাল বেয়ে গড়িয়ে নেমে আসতে অথবা জেমস বন্ড মুভি "দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ নট এনাফ"-এর সেই দুর্দান্ত রোমাঞ্চকর স্কি-চেজ-এর দৃশ্যে পাহাড়ের ঢালে হ্যান্ডসাম অভিনেতা পিয়ার্স ব্রসনানকে স্কি করতে, যা মনের কোনে একটু হলেও ঈর্ষার উদ্রেক করেছে এটা ভেবে যে এগুলো কি সারাজীবন আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাবে।
তাই, অবশেষে আমার যখন স্কি-এর পোশাক পরার এবং পাহাড়ের ঢাল বেয়ে নেমে প্রথম স্কি পাঠ নেবার সু্যোগ এলো, তখন আমি একদম নিশ্চিত ছিলাম যে সত্যিই আমি এটা করতে যাচ্ছি, তবে এটা ঠিক যে আমি হয়ত স্কিয়ারদের মতো অত ভালো করে করতে পারব না যারা বছরের পর বছর ধরে ঠান্ডা মোকাবিলা করতে করতে এটা অনুশীলন করেছেন।
আশ্চর্যের বিষয় হল যে আমি যখন স্কিইং করছিলাম তখন আমার মোটেও শীত করছিল না। এমনকি, মনিটরে যখন মাইনাস এগারো ডিগ্রি তাপমাত্রা দেখাচ্ছিল, তখনও আমার পিঠ দিয়ে টপ টপ করে ঘাম ঝরছিল। আমি সেই প্রাচীন দিগন্ত বিস্তৃত বরফে ঢাকা পাহাড়ের দিকে দেখলাম আর ভাবলাম যে এটা কিভাবে সম্ভব। যাইহোক, দূষণবিহীন পরিষ্কার নীল আকাশকে সাথে নিয়ে সূর্য্য আমাদের উপর তার প্রখর তাপ ছড়াচ্ছিল, আর চারদিক বরফে চকচক করছিল, মনে হচ্ছিল কেউ যেন একটা নিখুঁত ছবি এঁকেছে।
আমার শুধু দরকার ছিল একটা বড় আকারের সানগ্লাস আর সানস্ক্রিনের! আমি স্কি করতে পারি বা না পারি, আমি কেবল বরফে ঢাকা পাহাড়ে বরফ নিয়ে খেলতে পেরে, নিজের একটি তুষারমানব তৈরি করতে পেরে আমার শৈশবের স্বপ্নকে আবার জাগিয়ে তুলতে পেরে আমার মনের কোনে সযত্নে রাখা বহু দিনের ইচ্ছা পূরণ করতে পেরে সত্যিই খুব খুশি। বেশিরভাগ স্কি রিসর্টগুলিতেই গরম জলের পুল এবং থার্মাল স্নানের সুবিধা থাকে, সারাদিন পাহাড়ের ঢালে কাটানোর পর ওই জলে স্নান করার মধ্যে দিয়ে দিনটা শেষ করা, এরথেকে ভালো আর কি হতে পারে, অন্তত আমার তো তাই মনে হয়েছে।
আইসল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, হাঙ্গেরি, নিউজিল্যান্ডের মতো বিশ্বের অনেক দেশেই উষ্ণ প্রস্রবণ রয়েছে, যার জল এইসব স্নানঘরে ঢালা হয় আর এই জল যে শুধু আরামদায়কই নয় সেইসঙ্গে থেরাপিউটিকও বটে। এই নিরাময়কারী জল পেশীর ব্যাথার উপশম ঘটায়, তাই আমি সুযোগ পেলেই এই থার্মাল স্নান করার চেস্টা করি, বিশেষ করে শীতকালে যখন আপনি একদিকে গরম জলে গা ভেজাচ্ছেন অন্যদিকে আপনার মুখে শীতল বাতাস অনুভব করছেন৷
শীতের আরেকটি আনন্দ হল হাস্কি ডগসলেড রাইড। আমি যখন হাস্কি ফার্মে যাই তখন আমি মিষ্টি আদুরে হাস্কি ডগেদের সাথে দেখা করার সুযোগ পাই। হাস্কিসরা ঠান্ডার সঙ্গে অভ্যস্ত, আর শীতকালে ডগস্লেড রাইড খুব মজার এবং মনে রাখার মতো একটা অভিজ্ঞতা।
আমি যখন আমার প্রথম শীতের সময়ের বেড়ানোর ছবিগুলি দেখি, আমার মনটা তখন সুখস্মৃতিতে ভরে ওঠে ! প্রথমবার যখন আমি স্কি করতে শিখেছিলাম, প্রথমবার আমি যখন পড়ে না গিয়ে থামতে শিখেছিলাম, এমনকি প্রথমবার আমি যখন বরফের উপর দিয়ে হাঁটতে শিখেছিলাম! আর সবচেয়ে ভালো ব্যাপার অবশ্যই হল, সেই ট্রিপের ছবিগুলো যখন প্রতি বছর আমার ফেসবুকে পপ আপ করে আমাকে আমার জীবনের সেরা সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়। তাহলে আপনিও কি এই বছর অন্য কিছু করার জন্য প্রস্তুত?
হায় রে! আমি এটা জানতাম না...
অস্ট্রেলিয়ার ইশান্য উপকুলের স্বচ্ছ, বিশুদ্ধ জলের নিচে একটি রহস্যময় বিশ্ব লুকানো আছে, যাকে আমরা বলি, দ গ্রেট বারিয়ার রীফ | এটি বিশ্বের বৃহত্তম প্রবাল রীফ সিস্টিম যা প্রায় দেড় মিলিয়ন বছর ধরে এখানে বিদ্যমান | এটি পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ও জটিল ইকো (eco) সিস্টিমগুলির মধ্যে একটি |এদের রহস্যগুলি আজও বৈজ্ঞানিকদের এবম্ গবেষকদেরকে বিস্মিত করেছে | দ গ্রেট বারিয়ার রীফ এটি কেবল একটি রীফ নয়, এটি পুরোপুরি 2900টি রীফ্স (প্রাচীর) এবম্ 900টি দ্বীপের বড় সমুচ্চয়, যে 2300 কিমী পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে |এই জীবন্ত কাঠামোটি এতটাই বিশাল যে আমরা চাঁদ থেকে দেখতে পারি ! দ গ্রেট বারিয়ার রীফের একটি খুব বড় রহস্য যে এখানে উদ্ভাসিত প্রবাল স্পোরিং (sporing) দৃশ্যটি | এই প্রবাল বছরে একবার নির্দিষ্ট একটি পূর্নিমার পরে প্রজনন করে | সে সময়ে এই লক্ষ-কোটি প্রবাল থেকে যে ডিম্বানু ও শুক্রাণু বের হয়, তা পানির নিচে এত দারুন আতশবাজি সৃষ্টি করে, সে দেখতে আমাদের চক্ষু স্থির! এই অনুষ্ঠানের সময় ও প্রবালের মধ্যে থাকা সমন্বয় আজও বৈজ্ঞানিকদেরকে ধাঁধায় ফেলেছে |এই গ্রেট বারিয়ার রীফের মধ্যে যদি আপনি আরো গভীরে যান, তবে সমুদ্রতল থেকে উদ্ভূত রহস্যময় ‘বোমীঝ’ দেখতে পারেন, যে আছে প্রচুর বৃহত্ ও নির্লিপ্ত প্রবালের গঠন, স্তুপ | সমুদ্রের নিচের এই টাওয়ার্স একটি অবিশ্বাস্য জৈববৈচিত্রের আবাসস্থল, যাদের অনেকগুলি প্রজাতির এখনও আবিষ্কার হয়নি | দ গ্রেট বারিয়ার রীফের মধ্যে প্রায় 1500 প্রজাতির মাছগুলি, 411 প্রজাতির হার্ড প্রবালগুলি, বিশ্বের প্রায় এক তৃতিযাংশ নরম প্রবাল এবম্ অন্যান্য অনেক সামুদ্রিক স্পিসিজ বাস করে |আপনারা শুনে অবাক হবেন, কিন্তু এই মাছগুলির কিছু প্রজাতি একটি নিপুন স্থপতি ! উদাহরণস্বরূপ, এখানে বাস করে একটি ছোট ‘জো মাছ’ নিজের মুখ দিয়ে সমুদ্রতটে গর্ত খুঁড়ে |এই গর্তগুলি তাদের রক্ষণ করে মানব শিকারীদের, পাশাপাশি সমুদ্রের অজস্ত্র প্রাণী এবম্ ভয়ংকর জলের স্ত্রোত থেকে | সমুদ্রতলের দুনিয়া কত অদ্ভুত, নাকি? এই নিসর্গজাত পরম আশ্চর্য ‘দ গ্রেট বারিয়ার রীফ’, বীনা ওয়ার্ল্ডের আল অফ অস্ট্রেলিয়া আর বেস্ট অফ অস্ট্রেলিয়া এবম্ অস্ট্রেলিয়া নিউঝিল্যান্ড সফরের মধ্যে আপনি অবশ্যই দেখতে পারেন |
বীণা ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মিশন
ব্যক্তি যতো প্রকৃতি ততো |একটি পরিবার সম্পুর্ন ভিন্ন অভিরুচির মানুস নিয়ে গঠিত |পর্যটনের মধ্যেও এগুলি অভিরুচি মনে রাখে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের সফরের পরিকল্পনা করা হয় |তাই আমরা বলি, ‘বীণা ওয়ার্ল্ড আছে প্রতিটি পরিবারের জন্য এবম্ পরিবারের সবার জন্য’ | গত রবিবারে 27 দিনের মধ্যে 15 দেশগুলি অথবা মাল্টি কান্ট্রি কম্বিনেশান টুর্স সম্বন্ধে আপনাকে জানানো হয়েছে | ইউরোপের মতো মহাদেশে, যেখানে প্রায় 50টি দেশ রয়েছে, সেখানে বর্তমানে পর্যটকরা নয়-দশবার যাচ্ছেন আর ধাপে ধাপে ইউরোপ মহাদেশ দর্শন করে আছে | তাদের জন্য আমরা সেইরূপ টুর্স নিয়ে এসেছি |প্রথমবারের পর্যটকরা সর্বপ্রথম পশ্চিম ইউরোপে যাওয়ার প্রবনতা রাখে |একই সময়ে আট-দশ দেশগুলি দেখে ইউরোপের প্রত্যাশা করে আর তারপর যদি পছন্দ করে, তারা মাল্টি কান্ট্রি কম্বিনেশান টুর করে | অথবা এক সময়ে যতটা সম্ভব একটি দেশই দেখার দিকটি সফর ঠিক করে |’একই সময়ে একটি দেশ’ এরমধ্যে বীণা ওয়ার্ল্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় টুর্স হয়, বেস্ট অফ সুইজারল্যান্ড, বেস্ট অফ ইটালি, বেস্ট অফ অস্ট্রিয়া, বেস্ট অফ স্পেন, বেস্ট অফ গ্রীস, বেস্ট অফ টার্কি, ইত্যাদি | বীণা ওয়ার্ল্ডের বেবসাইটে গিয়ে দেখুন প্রতিটি সফরের কি কি মস্ত আয়টিনারীজ (ভোজনরসিক) আছে | আপনি একেবারে প্রেমে পড়বেন | ইউএসএ (USA) এতো বড় দেশ যে তার সঙ্গে কোন কম্বিনেশান্স নেই, উল্টো আমরা সেই একটি দেশে বিভিন্ন টুর করেছি, যে যোগে পর্যটকরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী, কখনও পূর্ব উপকূল এবম্ কখনও পশ্চিম উপকূল ভ্রমণ করতে পারেন | বিশ্বের সফরে একক দেশের জনপ্রিয় টুর্স রয়েছে বেস্ট অফ অস্ট্রেলিয়া, বেস্ট অফ নিউজিল্যান্ড, বেস্ট অফ জাপান, বেস্ট অফ সাউথ কোরিয়া, বেস্ট অফ ভিয়েতনাম, বেস্ট অফ বালি, বেস্ট অফ সিঙ্গাপুর, বেস্ট অফ থায়ল্যান্ড, বেস্ট অফ নেপাল, বেস্ট অফ ভুটান, বেস্ট অফ ইজিপ্ত, বেস্ট অফ মরিশাস, বেস্ট অফ শ্রীলঙ্কা, ইত্যাদি | এরমধ্যে নতুন করে ঢুকেছেন বেস্ট অফ ওমান, বেস্ট অফ কতার আর বেস্ট অফ সৌদি আরেবিয়া | তো চলুন, নিযুক্ত থাকুন আপনি আপনি ভ্রমণ মিশান সম্পন্ন করতে !
#VeenaWorldTravelMission
কী খাবেন, কীভাবে খাবেন?
পৃথিবীর মধ্য প্রাচ্য (মিডল ইস্ট) বিভাগ প্রাচীনকাল থেকেই ইউরোপ ও এশিয়াকে সংযুক্তকারী একটি অঞ্চল রয়েছে |এটি বানিজ্যের প্রধান পথ হওয়ায় এখানে অনেক সংস্কৃতির মিলন ঘটে আর সেই কারণে জন্ম হয় একটি সমৃদ্ধ খাদ্য সংস্কৃতির | আজকের ভারতীয় খাদ্য সংস্কৃতির অবিভাজ্য উপাদান দিয়ে গঠিত পদার্থ মানে সামোসা, জিলেবি, গুলাবজাম ইত্যাদি মূলতঃ মধ্যপ্রাচ্যের খাবার, যা সময়ের সাথে ভারতে প্রবেশ করেছে | এখন মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার পর কি খাবো এটা ভাবতে গিয়ে আমাদের পুরো দিনটিকে প্রাত:রাশ, দুপুরের খাবার, স্নাকস এবম রাতের খাবারে ভাগ করা যাক | তাই এখানের জনপ্রিয় ব্রেকফাস্ট হল ডিম, মশলাদার টমেটো এবম গোলমরিচির সস দিয়ে তৈরি শাকশুকা |এর সাথে খাওয়া হয় ফ্লটব্রেডস্, অলিভ্স আর লবনে নাম একটি দইর খাবার |মিডল ইস্ট মধ্যে চা/কফির সময় আতিথেয়তার একটি দারুন অভিজ্ঞতা | এখানে আরেবিক কফি অথবা পুদিনা এবম এলাচ যুক্ত চা খেজুর বা পেস্ট্রির সাথে উপভোগ করা হয় |টরকিতে বিখ্যাত বক্লাবা চায়ের স্বাদ আরো বাড়ায় | মিডল ইস্ট মধ্যে লাঞ্চ, ডিনারের কার্যক্রম রাজোচিত ভোজের চেয়ে কম নয় | এখানে টেবিলের উপর গ্রীল্ড মাংস, সালাদ, বিরয়ানী ও মকলুবা ইত্যাদি সুস্বাদু খাবারগুলি উপস্থিত হওয়া নিশ্চিত | এর সাথে আমরা খাবারে বিভিন্ন ধরনের কাবাব, ফল এবম শোরমার স্বাদ নিতে পারেন | আরো কিছু বিশ্ব বিখ্যাত মধ্যপ্রাচ্যের খাবার হল টজীন, খুসখুস, হমস আর নাফেহ | এখানে আমরা মেঝে নামে একটি আফলাতুন খাবারও চেষ্টা করতে পারেন, যাতে অনেক ধরনের আপেটায়জের্স ছোট ছোট ডিশেস মধ্যে পরিবেশন (সার্ভে) করা হয় | সমস্ত পরিবার এবম্ বন্ধুরা একসাথে বসে এটি উপভোগ করে | বীণা ওয়ার্ল্ডের কাছে মিডল ইস্টের অনেক দেশে সেরা টুর্স রয়েছে, যেগুলোর সম্পর্কে আপনি veenaworld.com উপর তথ্য পেতে পারেন | বীণা ওয়ার্ল্ডের সুনিলা পাটিল মাদাম কিছু মাস আগে মিডল ইস্টার সৌদি আরব সফর করেন | তাঁর সৌদি আরবের আশ্চর্যজনক অভিজ্ঞতা শুনতে বীণা ওয়ার্ল্ডের ‘ট্রাভেল এক্সপ্লোর সেলিব্রেট লাইফ’ এই পডকাস্ট (podcast) শুনতে ভুলবেন না | www.veenaworld.com/podcast
প্রতিযোগিতা – রাজ্য বনাম দেশ
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যটনে অভিমুখীন | তিনি আমাদের কাছে আবেদন করেছিলেন, “দেখো আমাদের দেশ!” প্রত্যেক ভারতীয় যদি আগামী তিন বছরে ভারতের অন্তত পনেরোটি রাজ্যে যান, তাহলে ভারত পর্যটন নির্ভর হয়ে উঠবে |প্রধানমন্ত্রী বিদেশী ভারতীয়দের প্রতি এও আবেদন করেছিলেন যে, প্রত্যেক বিদেশী ভারতীয়কে কমপক্ষে পাঁচজন বিদেশী পর্যটককে ভারতে পাঠাতে হয় এবম্ তাদের মধ্যে ভারতের প্রতি ভালবাসা জাগ্রত করতে হয় | এই কথাগুলি অবশ্যই একটি উত্তম পরিনাম ঘটবে |বীনা ওয়ার্ল্ডের ইনবাউন্ড ডিভিজান তরফে আমরা বিদেশী ভারতীয়দের ও বিদেশী পর্যটকদেরকে ভারত দেখানোর কাজ করছি | ‘দেখো আপনা দেশ!’ এই স্লোগানটি আমরা আমাদের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অবিরাম সমস্ত মানুসের সামনে তুলে ধরি আর তার পরে জুড়ে দিলো, ‘দেখো আপনা দেশ - দিল সে, প্রেম সে, সম্মান সে !’ (‘দেখো আমাদের দেশ -আন্তরিকভাবে, ভালবাসার সাথে, শ্রদ্ধার সাথে’) আমরা আমাদের অসংখ্য ভারতীয়দের কাছে ভারত দেখানোর কাজ নিরন্তর পুরো মন থকে ও আনন্দে করেছি |এনআরআয় (NRI) আর বিদেশী পর্যটক ভারতের দিকে আকৃষ্ট করতে, বীণা ওয়ার্ল্ড আয়টিবি (ITB) বার্লিন ও সিঙ্গাপুর এবম্ ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মার্ট, লন্ডন এর মতো বড় প্রদর্শনীতে অংশগ্রহন করছি |আমাদের অখন্ড ভারতের পরিচয় করতে গিয়ে আমরা পর্যটকদের বিশ্ব ভ্রমনের জন্য সাতটি মহাদেশে পর্যটন তৈরি করছি |আমাদের দেশের সাথে আমাদের ঘনিষ্ট (নাভির) সম্পর্ক বজায় রাখার সাথে ‘ভারত জোড়ো – একটি পর্যটন অভিযান’ হাতে নিয়ে আমরা এগিয়ে চলছি |এই বিশ্ব কেমন আছে, বিশ্বে কি কি ব্যাপার চলছে, ইতিহাস-ভূগোল-বিজ্ঞান-তন্ত্রজ্ঞান-আধুনিকীকরণ এ সব তথ্য সমস্ত ভারতীয় পর্যটকদের দেখানোর জন্য আমাদের আন্তরিক প্রয়াস বিগত বছরগুলিতে শুরু আছে | ‘দেখো আপনার দেশ’ অভিযান দ্বারে তিন বছর ধরে পনেরো রাজ্য এবম্ ‘দেখো এ বিশ্ব’ দ্বারে তিন বছরে দশটি দেশ, পাঁচ বছরে পঁঞ্চিসটি দেশ আর দশ বছরে পঞ্চাসটি দেশ দেখার যোজনা আমরা পর্যটকদের সামনে রেখেছি |একটি ট্রাভেল কনসালটেন্ট হিসাবে পর্যটকদেরকেও তাদের ট্রাভেল পোর্টফোলিও তৈরি করার জন্য আমরা সাহায্য করছি | জীবনে সবসময় অপেক্ষা করার জন্য কিছু থাকাই জরুরি |’সামথিং টু লুক ফরওয়ার্ড টু’ মাস্ট | পর্যটনের এই লক্ষ্য আমরা আমাদের সামনে এবম্ আমাদের পর্যটকদের সামনেও নির্ধারণ করেছি | তোমাদের কি? আসুন, আমরা আমাদের পর্যটনের আকাঙ্ক্ষাকে ভালো রূপ দিই এবম্ ‘কদম কদম বঢায়ে যা..’ করে আমাদের পর্যটন লক্ষ্য অবশ্যই পোঁছে যাই |
ফটোবধান
আমি যখন টুর ম্যানেজার হিসাবে টুরে যাচ্ছিলাম, একবার আমরা ফটো-স্টপের জন্য ঝুরিক লেকে থামলাম |তখন সকালের সময় |সবাই দারুন মেজাজে ছিলো |ছবি তোলার সময় সেখানে একটি মোটরসাইকেল এসে থামলো | সে মোটরসাইকেলটা আমরা এখনো মনে আছে | সবার চোখ সেই বাইকের দিকে |সে সময় ভারতে এ ধরনের বাইক পাওয়া যেত না | এমনকি এখন কোথায় তা সহজে দেখা যাচ্ছে না | টুর মধ্যে দুই-তিন ছেলেমেয়ে সহ পরিবার ছিলো | আমি তক্ষুনি বুঝলাম, বাচ্চারা বাইক নিয়ে ছবি তুলতে চায় | তাই স্মার্ট সুইস যুবককে অনুরোধ করেছিলেন এবম্ তিনি ‘ভায় নোট’ বলে সরে দাঁড়ালেন |ছেলেদের মধ্যে একজন ক্যামেরা নিয়েছিলো আর যারা ছবি তুলতে চায় তাকে বাইকের সাথে একে অপরের এক পোজ দিতে বলেছিলো এবার সবাই ছবি তুলতে আসবে এবম্ বেশি সময় কেটে যাবে, এই মনে করে যুবকটি ‘মাফ করবেন, আমি যেতে চেয়েছিলাম’ বলে বাইক নিয়ে চলে গেলো | তাকে কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ জানিয়ে বাচ্চারা ছবিগুলো দেখতে লাগলো | আর আচমকা ছবিটি তোলা বাচ্চাকে অন্যরা মারধর শুরু করে দিলো| কি হয়েছে বলে সেখানে গেলাম তা বুঝতাম, ওই মহাশয় ছবি তো তুলেছেন, কিন্তু ওরা সব বাচ্চাদেরকে, বাইকটা সেখানে দেখা যাচ্ছে না! এখন বাইকওয়ালাও চলে গেলো | এক দিকে বাচ্চাদের ক্রোধ অনাবর ও আমরা হাসতে হাসতে ক্লান্ত হয়ে গেলাম |এ আমার মতো ফটো এক্সিডেন্ট | আজও ফটো নিয়ে এরকম অনেক গল্প দেখা যায় |কোথাও যাওয়ার পর ছবি তোলা অনিবার্য, আর কেন নয়? তাই তো ভালো স্মৃতি আছে | সেই তো আছে ফটো ডায়ারি |ছবি তোলার বিষয়ে আপনাকে গাইড় করার জন্য বিসেষজ্ঞ আমরা নেই, কিন্তু টুরে আমরা যে পর্যবেক্ষণ করে সে থেকে কিছু ছোটো পয়েন্টস লক্ষ্য করেছি, তারা এখানে উল্লেখ করা উচিত |টুরে যাওয়া জ্যেষ্ঠদের স্মার্টফোনে প্রথম স্ক্রিনের উপরের ডানদিকে ফটো আইকন রাখতে হবে, যাতে দ্রুত ছবি তোলা যায় | ‘মেক ইট ইঝি ফর দেম এন্ড গাইড দেম|’ দ্বিতীয়ত, টুরে মোবাইল ফোন হারানো এবম্ এর সাথে জুড়ে সমস্ত স্মৃতি হারিয়ে যাওয়া খুবই সাধারন ব্যাপার |মোবাইল নেক স্ট্রিপ্স nake strips) বা ক্রস বড়ি স্ট্রিংস (cross body strings) পাওয়া যায় | তাকে মোবাইল বেঁধে দেওয়ার পর হারানোর ভয় নেই আর হাতও মুক্ত |যদি কখনও দ্রুত ছবি তুলতে চান, তবে পার্স থেকে ফোনটি বের করার অপারেশন করা হবে না |বেশি সময়ে, পার্স থেকে ফোন বের করে একটি সুন্দর দৃশ্যটি ক্যামেরায় ধরা পর্যন্ত আপনার গাড়িটি সেখান থেকে চলে গেছে | একটি চুড়ান্ত এবম্ বিনতির পরামর্শ, প্রতিটি মনোরম স্থানের আনন্দ পুরোপুরি উপভোগ করেন |আমরা ছবি তুলতে এত মগ্ন হয়ে যায় কি আমরা চোখে ও মনে সে স্থানের পরিদর্শনের সুখ নেওয়া ভুলে যায় | আমি তো বলব, আপনার কাছ থাকা সময়ের মাত্র 25% সময় ফটোগ্রাফির জন্য ব্যয় করুন এবম্ বাকিটা সময় সে জায়গাটি মনের মতো উপভোগ করতে ব্যবহার করুন |আসুন, আমরা যে গন্তব্য পর্যটনের জন্য এসেছি, তাকে শরীর ও মন থেকে পুরোভাবে রসবোধ করি |
অ্যান্টার্কটিকা
বুয়েনস আইরেস, উশহুয়াইয়া, অ্যান্টার্কটিকা ক্রুজ
সপ্তম মহাদেশ
ভীণা ওয়ার্ল্ডের সাথে
আপনি পৃথিবী ভ্রমণ করেছেন, কিন্তু শুধু সপ্তম মহাদেশ বাকি রয়ে গেছে? তাহলে আসুন, যাই…
এটি একটি 'নো ম্যানস' ল্যান্ড। এর মালিক কোনো দেশ নয়। এখানে শুধু সামুদ্রিক জীবনের শাসন চলে। পেঙ্গুইন, তিমি, সীল এবং ক্রিল এখানে অবাধে এবং শান্তিতে বসবাস করে। এদের রাজ্যে বছরের মাত্র কয়েক মাসের জন্য অতিথি হিসাবে আমাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। মানবজাতির অনুপস্থিতির কারণে, এখানে সবকিছু প্রাকৃতিক, বিশুদ্ধ এবং আদিম। আসুন পৃথিবীর উন্মাদনা থেকে বাঁচি আর পৃথিবীর দক্ষিণতম অঞ্চলে এক অনন্য অভিযানে সামিল হই এবং গর্বের সাথে ঘোষণা করি যে 'আমরা অ্যান্টার্কটিকাতেও গেছি, আমরা বিশ্বের সাতটি মহাদেশ দেখেছি'। আর একদম চিন্তা করবেন না, সম্প্রতি ভীণা ওয়ার্ল্ড দুটি অ্যান্টার্কটিকা সফর করে সফলভাবে ফিরে এসেছে। ভীণা ওয়ার্ল্ডের ট্যুর ম্যানেজার মুম্বাই থেকে মুম্বাই পর্যন্ত আপনার সাথে থাকবে।
চলো, ব্যাগ ভরো, বেড়িয়ে পড়ো ! এ বার অ্যান্টার্কটিকা।
Post your Comment
Please let us know your thoughts on this story by leaving a comment.