Published in the Sunday Anandabazar Patrika(ABP) on 14 July, 2024
আপনি কি কখনও পার্লামেন্টে খাওয়া দাওয়া করেছেন? হ্যাঁ, এটা সম্ভব আর এই অনন্য সুযোগটি আপনিও উপভোগ করতে পারেন! আমার বেশ কয়েকবার ক্যানবেরা পরিদর্শনের সুযোগ হয়েছে আর সেই সফরে আমি অস্ট্রেলিয়ার সংসদ ভবনের উপরে অবস্থিত কুইন্স টেরেস ক্যাফেতে লাঞ্চ করেছি। ওখানে বসে আমি আমার চারপাশে তাকিয়ে এটা বুঝতে পেরে রোমাঞ্চিত হয়েছি যে, এই সেই জায়গা যেখানে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়। আপনি যখন অস্ট্রেলিয়ায় থাকবেন, তখন ক্যানবেরার পার্লামেন্ট হাউসে অবশ্যই যাবেন। এটি কেবল একটি সরকারি ভবনই নয়; এটি একটি স্থাপত্যের বিস্ময় যা অস্ট্রেলিয়ান গণতন্ত্রের প্রতীক এবং এক অনন্য সংসদীয় অভিজ্ঞতার জন্য পরিচিত।
অস্ট্রেলিয়ার গণতান্ত্রিক রীতি অনুযায়ী সরকারের কাজকর্ম প্রত্যক্ষ করার জন্য দর্শকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়, যা অন্যান্য দেশের থেকে একেবারেই আলাদা। এর অর্থ হল সংসদের অধিবেশন চলাকালীন আপনি সেখানে প্রবেশ করে দেখতে পারেন যে অস্ট্রেলিয়া গভর্নমেন্ট তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে কিনা এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাদের নির্বাচিত নেতাদের সম্পর্ক ঠিক কি। অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কে সর্বোত্তম বিষয়গুলির মধ্যে একটি হল তাদের ধীরে চলা মনোভাব এবং মুক্ত সংস্কৃতি। যা সংসদ ভবনের ছাদের উপরের বাগানে দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার দেওয়া সেই সংস্কৃতিকেই প্রতিফলিত করে। ওরা বলে, এটা জনগণের বাড়ি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিই যে আমাদের অবশ্যই উচিত ভীণা ওয়ার্ল্ড ট্যুরে এই ধরনের আরও অনেক অভিজ্ঞতা অন্তর্ভুক্ত করা যেখানে আমাদের অতিথিরা শুধুমাত্র বাইরে থেকে মনুমেন্টগুলির ছবি তুলবে না বরং ভিতরে গিয়ে এইসব অসাধারণ স্থাপত্যে শৈলী চাক্ষুষ করার সুযোগ পাবে, এবং সেইসঙ্গে তাদের সৌন্দর্য এবং জাঁকজমকের মধ্যে নিজেকে নিমজ্জিত করার সাথে সাথে দেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকেও আত্মস্থ করবে।
আমার স্কুলের দিনগুলিতে যখন আমি ওয়ার্ল্ড ম্যাপ দেখতাম সেই সময় থেকেই আমি অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আকৃষ্ট। এর স্বতন্ত্র এবং অনন্য আকৃতি সবসময়ই অন্য যে কোনও দেশের থেকে একে একটা আলাদা পরিচয় দিয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য অংশ থেকে এর দূরত্ব আমাকে এই দেশটি সম্পর্কে কৌতূহলী করে তুলেছে। আর এই কৌতূহলই আমার অস্ট্রেলিয়া সফরের আকাঙ্ক্ষাকে আরো উজ্জীবিত করেছে, এটি এমন একটি স্বপ্ন যা আমি সৌভাগ্যক্রমে পূরণ করতে পেরেছি। আপনার মনে যদি এমন প্রশ্ন জাগে যে, কেন আমি অস্ট্রেলিয়ায় যাব, তাহলে আসুন দ্রুত এই বিশাল দেশটির দিকে একটু নজর দিই। বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক দৃশ্য এবং বিস্ময়ে ঘেরা অস্ট্রেলিয়া প্রায় ৭.৭ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার জুড়ে অবস্থিত, এটি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম দেশ। ভৌগোলিক স্বতন্ত্রতার সাথে এর বিশালতা মিলে যায়, এখানে রয়েছে পৃথিবীর বৃহত্তম প্রবাল প্রাচীর দ্য গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের মতো আইকনিক ল্যান্ডমার্ক, যা মহাকাশ থেকেও দৃশ্যমান। প্রাচীন শিলা গঠন সহ বিস্তৃত আউটব্যাক থেকে কুইন্সল্যান্ডের সবুজ রেইন ফরেস্ট পর্যন্ত, অস্ট্রেলিয়া তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপূর্ব ছবি আমাদের সামনে তুলে ধরে। এছাড়াও, এটা ভেবে আমার খুব ভালো লাগে যে এটি হল ক্যাঙ্গারু, কোয়ালা এবং অধরা প্লাটিপাস সহ নানান সুন্দর বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল, যাদের এই গ্রহ ছাড়া অন্য কোথাও দেখতে পাওয়া যায় না। অত্যাশ্চর্য প্রাকৃতিক দৃশ্য, স্থানীয় প্রজাতি এবং ভূতাত্ত্বিক বিস্ময়ের সংমিশ্রণে গঠিত অস্ট্রেলিয়া আমাদের বিশ্বের বিস্ময়কর আশ্চর্যের প্রমাণ হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে।
আপনি যখন মনে মনে অস্ট্রেলিয়ার ছবি আঁকেন, তখন সম্ভবত আইকনিক সিডনি অপেরা হাউসটি তার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। আমার পরিষ্কার মনে আছে যে, যখন আমি প্রথমবার পরিষ্কার নীল আকাশের পটভূমিতে অপরূপ শেল-আকৃতির নকশার দিকে তাকিয়েছিলাম, আমার কাছে সেই মুহুর্তটি ছিল অসাধারণ, প্রতিটি কোণ থেকে এর সৌন্দর্য ক্যাপচার করা থেকে আমি নিজেকে বিরত করতে পারিনি। রাতে বন্দরে নৌকায় চড়ে ঘুরে বেড়ানোর সময় এর আকর্ষণ আরও তীব্র হয়ে ওঠে, চাঁদের আলো পড়ার ফলে এক অলৌকিক দৃশ্যের অবতারণা হয়। আর তখনই আপনি বিভিন্ন স্থাপত্যের প্রকৃত সৌন্দর্য উপলব্ধি করতে পারবেন, যা দিনের আলোতে একরকম আর তারা ভরা আকাশের নিচে আরেকরকম। একজন শিক্ষিত গাইড নিয়ে অপেরা হাউসের ভিতরে প্রবেশ করা একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা ছিল। যেখানে আমি জানতে পেরেছিলাম যে অপেরা হাউসের ডিজাইনটি একটি আন্তর্জাতিক ডিজাইন প্রতিযোগিতায় ২০০ টিরও বেশি ডিজাইনের মধ্যে থেকে নির্বাচিত হয়েছিল। ড্যানিশ স্থপতি জর্ন উটজন দ্বারা নকশাকৃত ইউনেস্কোর এই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটটির ছাদ দশ লক্ষেরও বেশি সিরামিক টাইলস দিয়ে সজ্জিত যা সূর্যালোকের নিচে চকচক করছিল। আজকের দিনে, অপেরা হাউসে প্রতি বছর ১৫০০ টি অসাধারণ অনুষ্ঠান হয়, যার মধ্যে রয়েছে অপেরা, ব্যালে, কনসার্ট এবং থিয়েটার, যা সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ দর্শককে আকর্ষিত করে। তবে আমি জানতে পারলাম যে এর একটা মনখারাপ করা অংশও রয়েছে। যদিও অপেরা হাউসের কাজ ১৯৭৩ সালে শেষ হয়েছিল, কিন্তু যিনি এটির নকশা করেছিলেন, সেই জর্ন উটজন, কখনই এটাকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাননি। ১৯৬৬ সালে ওখানে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে উনি প্রকল্পটি ছেড়ে দেন। ওনার উত্তরাধিকার অপেরা হাউসের বিস্ময়কর নকশার মাধ্যমে আজও বেঁচে আছে। ওখানে দাঁড়িয়ে, এর সৌন্দর্যে বিস্মিত হয়ে, আমাদের এত সুন্দর একটি স্থাপত্য উপহার দেওয়ার জন্য আমি উটজোনকে ধন্যবাদ না জানিয়ে পারলাম না। তার এই কালজয়ী ডিজাইন যে আজও মানুষকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে সেটাই দেখার!
এরপরে আমি যাত্রা করেছিলাম সিডনি বন্দরের দিকে এবং উপসাগরের আইকনিক সিলুয়েট ঘুরে খুব শীঘ্রই রাজকীয় সিডনি হারবার ব্রিজটি অতিক্রম করেছিলাম। ব্রিজটি সিডনির উত্তর এবং দক্ষিণকে সংযুক্ত করে তবে এটি কেবলমাত্র যাতায়াত করার জন্য নয়; এটি একটি জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট আকর্ষণ যেখান থেকে শহর এবং সিডনি অপেরা হাউসের প্যানোরামিক দৃশ্য দেখা যায়। স্বতন্ত্র আকৃতির জন্য একে আদর করে "কোয়াথাঙ্গার" বলা হয়, আপনি ব্রিজের উপরে উঠতে পারেন এবং ব্রিজের উপরে দাঁড়িয়ে রোমাঞ্চকর মুহূর্ত এবং তারপরে প্যানোরামিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়ার বড় শহরগুলির মতো ছোট শহরগুলিতেও অনেক মনোমুগ্ধকর আকর্ষণ রয়েছে যা প্রায়শই আমাকে এখানকার ঔপনিবেশিক ইতিহাসের কথা মনে করিয়ে দেয়। আমার কাছে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে ভালো দিক ছিল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া, বিশেষ করে গাড়িতে করে যাওয়া। তাই এখানে লোকে বলে যে জার্নি হল গন্তব্যের মতোই সুন্দর! অস্ট্রেলিয়া, আমার কাছে, রোড ট্রিপের জন্য স্বর্গরাজ্য, এখানে গর্ব করার মতো বিশ্বের কয়েকটি মনোরম ড্রাইভিং রুট আছে। দিগন্তবিস্তৃত খোলা জায়গা, অন্তহীন নীল আকাশ এবং নিখুঁতভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা রাস্তা, এখানে প্রতিটি জার্নি মানেই অ্যাডভেঞ্চার। যেহেতু ভারতের মতোই রাস্তার বাম দিক দিয়ে গাড়ি চালাতে হয়, তাই অস্ট্রেলিয়ার রাস্তায় গাড়ি চালানো খুব সহজ বলে মনে হয়। ব্যবসার কাজে এবং ছুটিতে গাড়ি চালিয়ে আমি প্রায়শই আমার সহকর্মী এবং বন্ধুদের সাথে কিছু স্মরণীয় রোড ট্রিপ করার সুযোগ পেয়েছি। একবার গতি সীমা সামান্য অতিক্রম করার জন্য পুলিশ আমাকে ধরে। আমার ভাগ্য ভালো ছিল যে, গ্রামের রাস্তায় মাইলের পর মাইল কেউ না থাকায় পুলিশ আমাকে একটি সতর্কবার্তা দিয়ে ছেড়ে দেয়। জনমানবহীন রাস্তায় গাড়ি চালানো আমার জন্য সম্পূর্ণ নতুন এবং মনোরম অভিজ্ঞতা ছিল।
সবচেয়ে অবিস্মরণীয় ট্রিপগুলির মধ্যে ছিল ভিক্টোরিয়ার গ্রেট ওশান রোড বরাবর ড্রাইভ করা, যেখানে প্রতিটি মোড়ের অপুর্ব ভুবনভোলানো দৃশ্য আমাকে শ্বাসরুদ্ধ করে দিয়েছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই রাস্তাটি বিশ্বের বৃহত্তম ওয়ার মেমোরিয়াল হিসাবে প্রসিদ্ধ, যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে ফিরে আসা সৈন্যদের আত্মত্যাগের একটি মর্মস্পর্শী স্মৃতি। একদিকে মহাসাগর এবং অন্যদিকে পাহাড় সহ গ্রেট ওশান রোড আমাদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছিল। ভীণা ওয়ার্ল্ডের অস্ট্রেলিয়া সফরে আমাদের অতিথিরা হেলিকপ্টার থেকে বার্ড-আই ভিউ দিয়ে টুয়েলভ অ্যাপোস্টলেস রক ফরমেশন উপভোগ করেন। আপনি যদি গ্রেট ওশান রোডে থাকতে চান, তাহলে পোর্ট ক্যাম্পবেল এবং অ্যাঙ্গলেসি-র মতো সমুদ্রতীরবর্তী গ্রামগুলি আপনাকে উপকূলীয় জীবনের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করার, স্থানীয় সুস্বাদু খাবারের স্বাদ নেওয়ার এবং অস্ট্রেলিয়ার অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ দেয়।
মেলবোর্ন থেকে মাত্র এক মাইল দূরে অবস্থিত ফিলিপ আইল্যান্ড, যেখানে মনোমুগ্ধকর পেঙ্গুইন প্যারেড হয়। দ্বীপটা সত্যিই অপূর্ব সুন্দর আর আমি হাঁটতে হাঁটতে একদম ধারে চলে গেছিলাম। সূর্যাস্তের সময় ছোট পেঙ্গুইনগুলি জল থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করে আর তাদের বাসার দিকে যেতে থাকে। সূর্যাস্তের সময় এই আদুরে প্রাণীদের তীরে হাঁটতে দেখা সত্যিই এক দুর্লভ অভিজ্ঞতা, যা অস্ট্রেলিয়ার বৈচিত্র্যময় বন্যজীবনে আরও একটি মাত্রা যোগ করে।
বৈচিত্র্যময় আবহাওয়ার কারণে সারা বছর ধরে অস্ট্রেলিয়া হল ছুটি কাটানোর জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য, সত্যিই প্রতিটি ভ্রমণকারীর জন্য এখানে কিছু না কিছু রয়েছে। তা সে গোল্ড কোস্টের রোদে ভিজে সমুদ্র সৈকত উপভোগ করা বা মেলবোর্নের প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক দৃশ্যের প্রতি আকৃষ্ট হোন না কেন, এই মনোমুগ্ধকর মহাদেশের প্রতিটি কোণে জাদু ছড়িয়ে আছে। ভীণা ওয়ার্ল্ডে, আমরা আপনাদের এমন অভিজ্ঞতা দিতে চাই যা আপনাকে অস্ট্রেলিয়ার রূপ রস গন্ধে নিমজ্জিত করে, এমন লালিত স্মৃতি তৈরি করে দেবে যা আজীবন স্থায়ী হবে। সুতরাং আসুন, আমার সাথে একটি অ্যাডভেঞ্চারে যোগ দিন, এবং আমরা ভীণা ওয়ার্ল্ডের সাথে একত্রে অস্ট্রেলিয়ার অতুলনীয় সৌন্দর্য আবিষ্কার করি।
হায়রে! এইটা আমি জানতাম না...!
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিশ্বের ইতিহাস ও ভূগোলকে বদলে দিয়েছিল। পূর্ব ইউরোপের একটি দেশ পোল্যান্ড এই বিশ্বব্যাপী সংঘাতের সময় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মধ্য ইউরোপীয় এই দেশে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ নিহত হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হৃদয় বিদারক সৌধগুলি আজও পোল্যান্ডে দেখা যায়, তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ক্রাকো শহরের কাছে আউশভিটস কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে জার্মানি পোল্যান্ড আক্রমণ করার পর, ক্রাকো জার্মান-অধিকৃত পোল্যান্ডের সদর দফতরে পরিণত হয়। এই শহরের কাছে, নাৎসিরা ওসউইসিম নামে একটি গ্রামে একটি বড় কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প স্থাপন করেছিল, যা আউশভিটস নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। নাৎসি শাসনের গভীরে প্রোথিত বর্ণবাদ আসলে ছিল ইহুদিদের প্রতি তাদের ক্ষোভ। ১৯৪০ সালের ২০শে মে বন্দীরা প্রথম আউশভিটজে আসে এবং জার্মান বাহিনী তাদের প্রভাব বিস্তার করার সাথে সাথে পোল্যান্ড এবং অন্যান্য দেশ থেকেও বন্দীদের ক্রমাগত এই শিবিরে আনা হয়।
প্রায় ৫০০ একর জুড়ে বিস্তৃত এই কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত ছিলঃ একটি অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ক্যাম্প , একটি লেবার ক্যাম্প এবং একটি এক্সটারমিনেশন ক্যাম্প। এই ক্যাম্পে দশ লক্ষেরও বেশি বন্দী ছিল। ৭০০ জনের জন্য বানানো সুযোগ-সুবিধাগুলির মধ্যে প্রায়শই ১২০০ জনকে ঢুকিয়ে দেওয়া হত। প্রথম তিন বছর, কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প রুডলফ হাসের অধীনে ছিল। ডাঃ জোসেফ মেঙ্গেল এই ক্যাম্পে তথাকথিত মেডিক্যাল এক্সপেরিমেন্ট চালিয়েছিলেন, যা মানব ইতিহাসের একটি বিশেষ অন্ধকার অধ্যায়কেই চিহ্নিত করে।
এই কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে বন্দীদের দিনে কমপক্ষে ১১ ঘন্টা কঠোর পরিশ্রম করতে হত, যথেষ্ট পরিমাণে খাবার বা জল কিছুই দেওয়া হত না। এই ক্যাম্পে থাকা নথিভূক্ত বন্দীদের মধ্যে ত্রিশ শতাংশ ছিলেন মহিলা। ১০ এবং ১১ নম্বর ভবনের মধ্যবর্তী প্রাচীরটি 'ডেথ ওয়াল' নামে পরিচিত ছিল, যেখানে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হত। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে আউশভিটস-এ প্রায় ৮০০,০০০ নিরপরাধ মানুষকে নির্দয়ভাবে হত্যা করা হয়েছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে রাশিয়ান বাহিনী ১৯৪৫ সালের ২৭শে জানুয়ারি আউশভিটস ক্যাম্প থেকে বেঁচে থাকা ৭০০০ জন মানুষকে উদ্ধার করে। এরপর ধীরে ধীরে সারা বিশ্বের সামনে এই শিবিরে ঘটা নারকীয় গণহত্যার কথা প্রকাশ পায়। ১৯৫৫ সালে ক্যাম্পটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়।
আউশভিটসের মতো জায়গাগুলি সংরক্ষণ করা দরকার যাতে মানবতার বিরুদ্ধে এই ধরনের নৃশংসতার পুনরাবৃত্তি না হয় এবং নিরপরাধ জীবন আর না যায়। ভীণা ওয়ার্ল্ডের পূর্ব ইউরোপ সফরের মধ্যে রয়েছে আউশভিটস সফর। এই স্থানটি পরিদর্শন করার এবং এই মর্মান্তিক স্থানের সমস্ত নিরপরাধ মানুষগুলির প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগটি হাতছাড়া করা উচিত নয়।
মনে রাখবেন, আমাদের লক্ষ্য হল আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে তিন বছরের মধ্যে ভারতের কমপক্ষে পনেরোটি রাজ্য পরিদর্শন করা উচিত। আর কেনই বা নয়? ভারতকে আরও ভালভাবে বোঝার জন্য ভারত অন্বেষণে বেরিয়ে পরা অত্যন্ত জরুরী। ভারতীয়রা যে উৎসাহের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন তা সারা দেশের পর্যটনস্থানগুলিতে ভিড়ের মাত্রা দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। ইউরোপের প্রতিটি দেশ যেমন তাদের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ধর্ম নিয়ে গর্ব করে, ভারতও তেমনি তার রাজ্যগুলির বৈচিত্র্যের সমৃদ্ধ নিদর্শন সবার সামনে তুলে ধরে। প্রতিটি রাজ্যই স্বতন্ত্র, তাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, শিল্প ও ঐতিহ্য রয়েছে।
ইউরোপ যেমন বিশ্বকে মুগ্ধ করে দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকদের আকর্ষণ করে, তেমনি আমাদের ভারতেরও বিশ্ব পর্যটকদের আকৃষ্ট করার ক্ষমতা রয়েছে। ভারতের পর্যটন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটছে এবং এই গতি অব্যাহত থাকলে আগামী এক-দুই দশকে ভারত পর্যটনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করবে। এটি কেবল একটি দৃষ্টিভঙ্গি নয়, এটি এমন একটি বাস্তবতা যা আমরা আগামী বছরগুলিতে প্রত্যক্ষ করব। আমরা আমাদের নাগরিকদের কাছে ভারতের অবিশ্বাস্য বৈচিত্র্য প্রদর্শন করে আমাদের ভূমিকা পালন করছি।
পর্যটনের বিকাশ শুধু বড় আকারের শিল্পকেই উপকৃত করবে না, ছোট আকারের ব্যবসাকেও উৎসাহিত করবে। আন্তর্জাতিক পর্যটন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একজন পর্যটক আটজনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেন। ভেবে দেখুন, যদি আরও ভারতীয়রা দেশের মধ্যে বিভিন্ন রাজ্য ভ্রমণ করা শুরু করে তাহলে কর্মসংস্থানের সুযোগ আরো বাড়বে।
যেকোনো কারণে এবং যেকোনো মরশুমে ভারত হল ভ্রমণের জন্য আদর্শ গন্তব্য। এই মরশুমে, হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত যেকোনো একটি রাজ্য ঘুরে দেখার কথা চিন্তা করুন। কাশ্মীর, লেহ লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, দার্জিলিং, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশের মতো গন্তব্যগুলি আপনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আপনি যদি ইতিমধ্যেই এই অঞ্চল গুলি ঘুরে এসে থাকেন, তাহলে নেপাল ও ভুটানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলিও আপনাকে মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। অথবা রাজার দেশ রাজস্থান বা ঈশ্বরের নিজের দেশ কেরালার কথা কি ভেবেছেন? ছুটি শেষ হয়ে গেছে, ভিড়ও কমে গেছে... সুপার পিক মরশুম আবার শুরু হওয়ার আগে, ভীণা ওয়ার্ল্ড আপনার জন্য সবচেয়ে সাশ্রয়ী দামে জুলাই আগস্ট মাসে ভারত এবং স্বাভাবিকের থেকে কম দামে বিশ্বভ্রমণ করার প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। ট্র্যাভেল...এক্সপ্লোর... বিশ্ব দেখুন... ভীণা ওয়ার্ল্ডের স্টাইলে!
#VeenaWorldTravelMission
কি খাবো? কিভাবে খাবো?
প্রতিটি মহাদেশের খাদ্য সংস্কৃতি একটি বা দুটি আইকনিক খাবার নিয়ে গর্ব করে যা এর রন্ধনপ্রণালীকে সংজ্ঞায়িত করে। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপে রুটির বৈচিত্র্য এতটাই বিশাল যে রুটি ইউরোপীয় রান্নার হলমার্ক হয়ে উঠেছে। একইভাবে, সারা এশিয়া জুড়ে চালই হল প্রধান খাদ্য, প্রতিটি দেশ স্থানীয় উপাদান দিয়ে তৈরি চালের অনন্য সব খাবার পরিবেশন করে। কয়েক হাজার দ্বীপ নিয়ে গঠিত দ্বীপপুঞ্জ, ইন্দোনেশিয়াও এর ব্যতিক্রম নয়।
ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপগুলি প্রশান্ত মহাসাগর এবং ভারত মহাসাগর জুড়ে এবং বিষুবরেখার উভয় পাশ পর্যন্ত বিস্তৃত। জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র বালির ঐতিহ্যবাহী খাবার 'নাসি ক্যাম্পুর' যা বিশ্বব্যাপী ইন্দোনেশিয়ান খাবারের সমার্থক হয়ে উঠেছে। বাহাসা ইন্দোনেশিয়ায়, মালয় থেকে উদ্ভূত জাতীয় ভাষা, "নাসি" মানে চাল এবং "ক্যাম্পুর" মানে মিশ্র। নাম থেকেই বোঝা যায়, নাসি ক্যাম্পুর হল একটি মিশ্র চালের খাবার যেখানে ভাজা টুনা মাছ, ভাজা তোফু, গরুর মাংস বা মাটন পিস, শসা, পালংশাক, ভুট্টার শাঁস, চিলি সস, ব্রথ এবং বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি থাকে।
নাসি ক্যাম্পুর কোনো নির্দিষ্ট রেসিপি নয়; এটি ইন্দোনেশিয়া জুড়ে এক এক জায়গায় এক এক রকম। এটি সবসময় বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি এবং মাছের সাথে পরিবেশন করা হয় এবং এটি সাধারণত রাস্তার ধারের দোকানদারেরা কলা পাতায় মোড়ানো অবস্থায় বিক্রি করে। বালির আরেকটি জনপ্রিয় খাবার হল 'নাসি আয়াম'। "আয়াম" মানে মুরগি, তাই এতে ভাতের সাথে মুরগি মিশিয়ে বিক্রি হয়। মুরগির পাশাপাশি এই খাবারে শাকসবজি, মাছ, সাতে, চিনাবাদাম এবং সিদ্ধ ডিমও থাকে, এটি কিছুটা টক হলেও বেশিরভাগটাই মিষ্টি স্বাদের যা বিদেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
এই নতুন ধরনের খাবারের স্বাদ উপভোগ করতে, ভীণা ওয়ার্ল্ডের বালি ভ্রমণে যোগ দিন। ভারত এবং বিশ্বজুড়ে খাদ্য ঐতিহ্য এবং ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আরও জানার জন্য, ভীণা ওয়ার্ল্ডের 'ট্র্যাভেল এক্সপ্লোর সেলিব্রেট লাইফ' পডকাস্টটি শুনুন।
দেখান আপনার দেশ
এতক্ষণে, আপনি সম্ভবত ভীণা ওয়ার্ল্ডের বিজ্ঞাপনে আমাদের 'দেখো আপনা দেশ বলতে শুনেছেন, আর আমরা আক্ষরিক অর্থেই আমাদের হৃদয়ের গভীর থেকে বলতে চাই 'দেখো আপনা দেশ, দিল সে পেয়ার সে সম্মান সে!' এই নিবন্ধটি সামান্য পরিবর্তিত হয়ে হয়েছে 'দেখান আপনার দেশ'। প্রতি বছর, আমরা পঞ্চাশ থেকে পঞ্চান্ন হাজার ভারতীয় পর্যটকদের নিয়ে ঘুরে বেড়াই এবং আমাদের দেশের বিভিন্ন রাজ্য ঘুরে দেখি, আর এই ধারা অব্যাহত। তবুও, আমাদের সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় ভারত বিদেশী দর্শকদের কাছে তুলে ধরা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য, আর আমরা এই দায়িত্বটি নিষ্ঠার সাথে পালন করছি।
আমাদের ‘ভীণা ওয়ার্ল্ড ইন্ডিয়া ইনবাউন্ড’ বিভাগের মাধ্যমে, শুধুমাত্র ইউরোপ এবং আমেরিকা নয়, কলম্বিয়া এবং ব্রাজিল থেকেও পর্যটকরা ভারত ভ্রমণে আসছেন। ভীণা ওয়ার্ল্ডের ট্যুর ম্যানেজাররা বিদেশীদের কাছে আমাদের দেশের ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা প্রদানের ক্ষেত্রে পারদর্শী। আমাদের লক্ষ্য হল বিদেশী পর্যটকদের প্রত্যেকটি দল যাতে আনন্দময় স্মৃতি নিয়ে বাড়ি ফেরে তা নিশ্চিত করা, কারণ তারা খুশি হলে অন্যদেরকেও ভারত ভ্রমণে অনুপ্রাণিত করবে। যদিও ফ্রান্সে প্রতি বছর সারা বিশ্ব থেকে আট কোটি পর্যটক বেড়াতে আসে, তবে ভারত এখনও এক কোটি পর্যটকের মাইলফলক ছোঁয়ার চেষ্টা করছে। এই লক্ষ্য অর্জনে আমাদের ভুমিকাও কিছু কম নয়।
এমনকি আমাদের এনআরআইরা ভীণা ওয়ার্ল্ডের ইন্ডিয়া ইনবাউন্ড ট্যুরের মাধ্যমে ভারতের সাথে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করছেন। এই ট্যুর আমাদের অন্যান্য ট্যুরের থেকে আলাদা হলেও, এটি সবাইকে আনন্দ আর সন্তুষ্ট করতে সক্ষম।
ভীণা ওয়ার্ল্ড কাস্টমাইজড হলিডেজ
সেলফ-ড্রাইভ অ্যাডভেঞ্চার মিশনে যাত্রা শুরু
'জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা' চলচ্চিত্রটি আমাদের একরাশ নতুন অভিজ্ঞতার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে, যা উল্লেখযোগ্যভাবে পর্যটনকে এক নতুন পথে পরিচালিত করেছে। এর আগে পর্যটকরা স্পেনের মতো এক অত্যাশ্চর্য দেশে বেড়াতে যাবার কথা চিন্তাও করত না, তবে ছবিটি একা হাতে স্পেনকে ভারতীয় পর্যটকদের জন্য 'অবশ্যই দেখার' গন্তব্য হিসেবে স্পটলাইটে নিয়ে আসে। ফিল্মে দেখানো কোস্টা ব্রাভার মধ্যে দিয়ে আইকনিক রোড ট্রিপের কথা কে ভুলতে পারে? ওই তিন বন্ধু এই সেলফ-ড্রাইভ হলিডের ধারণাটি জনসমক্ষে তুলে ধরে। সিনেমার মুক্তির পর, সেলফ-ড্রাইভ হলিডের চাহিদা বেড়ে যায়। আজকাল, সেলফ-ড্রাইভ হলিডেজ ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, দশ শতাংশ ভ্রমণকারী ভীনা ওয়ার্ল্ডের সাথে প্রাইভেট ইন্ডিভিজুয়াল কাস্টমাইজড হলিডে বুক করার সময় এই ধরনের ভ্রমণ বেছে নিচ্ছেন। এই ধরনের ভ্রমণ প্রধানত নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ইউরোপ এবং আমেরিকার মতো গন্তব্যে হয়, যার জন্য আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন। আপনি যে দেশে যাচ্ছেন সেই দেশে গাড়ি রাস্তার বাম না ডান দিক ধরে ড্রাইভ করা হয় সেটা জানা খুব জরুরী; অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ইউকে-তে বাম দিকে ড্রাইভ করা হয়, অপরদিকে ইউরোপ এবং ইউএসএ-তে ডানদিক ধরে চালায়। বিপরীত দিকে গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য কিছু অনুশীলনের প্রয়োজন হয়, তবে একবার আয়ত্তে এসে গেলে যাত্রাপথ সুগম হয়।
আপনার গন্তব্যে পৌঁছানোর সাথে সাথেই আপনাকে সেলফ-ড্রাইভ অ্যাডভেঞ্চার শুরু না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যাত্রা শুরু করার আগে একটা পুরো রাত বিশ্রাম নিন। একটি মাঝারি গতি বজায় রাখুন, সেইসঙ্গে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টা করুন। নেভিগেশন দুর্ঘটনা বা ভুল লেনে ঢুকে পরার মতো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হলে, মাথা ঠাণ্ডা রাখুন। যদিও সেলফ-ড্রাইভের প্রাথমিক লক্ষ্য হল গন্তব্যে পৌঁছানো, তবুও যাত্রার আনন্দকে উপভোগ করাটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত বিরতি নিন, পথে বিচিত্র গ্রামগুলি ঘুরে দেখুন এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। প্রবাদ আছে, ' গন্তব্যে পৌঁছনো নয় আসল হল যাত্রাপথ ', যা যাত্রাপথের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করার ধারনাকে গুরুত্ব দেয়।
এছাড়াও, সেলফ-ড্রাইভের সময় ভাড়া করা গাড়িতে মূল্যবান জিনিসপত্র রাখবেন না, বিশেষ করে ইউরোপ এবং আমেরিকায়, যেখানে চুরির ঘটনা দিনে দিনে বাড়ছে। ভাড়া সাধারণত প্রতিদিনের হিসাবে ১০,০০০ টাকা থেকে ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়৷ নিউজিল্যান্ড, সম্পূর্ণরূপে, এক অতুলনীয় সেলফ-ড্রাইভের অভিজ্ঞতা আমাদের সামনে তুলে ধরে, যেখানে উত্তর এবং দক্ষিণ উভয় দ্বীপেই অসাধারণ সব দৃশ্য দেখা যায়। মনোমুগ্ধকর মেলবোর্ন, ভিক্টোরিয়ার গ্রেট ওশান রোড আর সিডনি ও ব্রিসবেনের মধ্যে প্যাসিফিক কোস্ট ড্রাইভ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া গর্ব বোধ করে। ইউরোপ, ইউকে এবং আমেরিকা সেলফ-ড্রাইভ অ্যাডভেঞ্চারের ক্ষেত্রে কিছু অসাধারণ সুযোগ-সুবিধা চালু করেছে। আপনি যেখান থেকেই যাত্রা শুরু করুন না কেন আর যেখানে গিয়েই শেষ করুন না কেন আপনার কোনো অনুশোচনা হবে না!
অতএব, ড্রাইভিং করতে যদি আপনি ভালোবাসেন, আপনি যদি একজন অভিজ্ঞ পর্যটক হন যিনি সেলফ-ড্রাইভ হলিডের রোমাঞ্চ খুঁজছেন, তাহলে আজই ভীণা ওয়ার্ল্ড কাস্টমাইজড হলিডে-এর সাথে যোগাযোগ করুন।
শেয়ার করার মতো কোনো মজার গল্প থাকলে, ইমেল-এ যোগাযোগ করতে পারেন: story@veenaworld.com
Post your Comment
Please let us know your thoughts on this story by leaving a comment.